নৈশালোকে গোলাপি বল খেলা নিয়ে কিছু আশঙ্কার প্রশ্ন তুলে দিলেন চেতেশ্বর পূজারা। ঘরের মাঠে দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচে ভারতকে খেলাতে উঠে-পড়ে লেগেছে বোর্ড। পরীক্ষার জন্য চার দিনের দলীপ ট্রফিকে দিন-রাতের করে গোলাপি বলে খেলানো হচ্ছে। সেই টুর্নামেন্টেই ভারত নীল বনাম ভারত সবুজ ম্যাচে ব্যাট করে পূজারার মনে হচ্ছে, গোলাপি বলে গুগলি বোঝা কঠিন। পেসারের হাতে যখন গোলাপি বল, তখন বলের সিম কোন দিকে থাকছে, সেটা বোঝাও সমস্যা।
ভারত নীলের হয়ে ২৮০ বল খেলে ১৬৬ রান করেন পূজারা। তাঁর ৩২তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি। পূজারা বলেছেন, ‘‘গোলাপি বলে এটাই আমার প্রথম ম্যাচ। এই উইকেটে ব্যাটিং উপভোগ করেছি। জোরে বোলারদের জন্য বিশেষ কিছু ছিল না। বরং সবচেয়ে সমস্যার সেশন লেগেছে তিন নম্বরটাকে। যখন ম্যাচ ফ্লাডলাইটে হচ্ছে। ওই সেশনে দ্বিতীয় নতুন বল ভাল মুভ করেছে। বেশি গতিতে ব্যাটে এসেছে। মনে হয়, গোলাপি বলে ফ্লা়ডলাইটে ব্যাট করাটাই সবচেয়ে কঠিন।’’
টুর্নামেন্টের সরকারি সম্প্রচার চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে পূজারা আরও বলেন, ‘‘এমনকী এই সেশনে আমি যখন স্পিনারদের খেলছিলাম, তখনও সমস্যা হয়েছে। গুগলি ধরাটা ফ্লাডলাইটে সবচেয়ে সমস্যার ব্যাটসম্যানের পক্ষে। গোলাপি বলের সিম বোঝাটাও খানিকটা কঠিন।’’ তার পরেও ১৬৬-তে আউট হতে হওয়ায় পূজারা হতাশ। ‘‘দর্শকেরা আমার কাছে বড় রানের আশা করেন। সে ক্ষেত্রে সেঞ্চুরি পাওয়াটা বেশ ভাল। কিন্তু ডাবল সেঞ্চুরি আরও ভাল। তবে দিনের শেষে আসল হল, বড় আন্তর্জাতিক সিরিজের আগে ঘরোয়া ম্যাচে বড় রান পাওয়াটা।’’
উল্লেখ্য, ঘরের মাঠে ভারতের এখন দীর্ঘ টেস্ট সিরিজ। নানা দেশের বিরুদ্ধে। সৌরাষ্ট্রের ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন, জাতীয় দলে তিনি যে কোনও পজিশনে ব্যাট করতে তৈরি। ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডারে যে কোনও জায়গায় নামার জন্য আপনাকে তৈরি থাকতে হবে। আমি তিন নম্বরে নেমে টেস্টে অনেক রান করেছি তাই হয়তো বেশি জানি ওই পজিশনে কী ভাবে ব্যাটটা করতে হয়। তবে অন্য পজিশনে নামতেও আমার কোনও সমস্যা নেই।’’
এ দিকে, দলীপের এই ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের একেবারে শেষে ৭০৭ রানে প্রথম ইনিংসে অল আউট হয় পূজারাদের ভারত নীল। পূজারার সৌরাষ্ট্র সতীর্থ শেল্ডন জ্যাকসন-ও সেঞ্চুরি (১০৫) করেন। পাঁচ উইকেট (৫-১৭৩) নেন ভারত সবুজ দলের লেগস্পিনার শ্রেয়স গোপাল।