পুণে মানেই কি এখন কলকাতা?
আইপিএলের পরে আইএসএলেও যে ‘বং-কানেকশন’ অব্যাহত।
আইপিএলে কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েন্কা রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের মালিক হওয়ার পরে এ বার আইএসএলে পুণে সিটির নতুন কোচও কলকাতা থেকেই। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই সঞ্জীব গোয়েন্কার আটলেটিকো দে কলকাতা ছেড়ে পুণে সিটির কোচের দায়িত্ব নিলেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। শনিবার মধ্যরাতে শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করতে পুণে উড়ে আসেন স্প্যানিশ কোচ। কথা ছিল, রবিবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে চুক্তিতে সই করবেন। কিন্তু এ দিন রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস বনাম কেকেআর ম্যাচ থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। কেন না বেশ কিছু পুণে সিটি কর্তা ম্যাচটা উপভোগ করতে স্টেডিয়ামে থাকায়। তাই আজ, সোমবার দুপুরে হৃতিক রোশনের দলের হয়ে এক বছরের চুক্তিতে সই করবেন হাবাস। তাঁকে নেওয়া হল ডেভিড প্লাটের পরিবর্তে।
তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে সই করার আগেই মাঠে নেমে পড়লেন প্রাক্তন এটিকে কোচ। রবিবারই সকালে তিনি ঘুরে দেখেন বালেওয়ারি স্টেডিয়াম। আইএসএলে পুণের যেটা হোম ভেনু। তার পর বেরিয়ে পড়েন প্র্যাকটিস মাঠ দেখতে। যা প্রধান স্টেডিয়াম থেকে প্রায় বারো কিলোমিয়ার দূরে। সূত্রের খবর, বালেওয়ারি স্টেডিয়াম দেখে হাবাস খুশি হলেও, প্র্যাকটিস মাঠ নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনি। এমনকী হোটেলে ফিরে বেশ কিছু কর্তাকে পুণে সিটির জন্য নতুন প্র্যাকটিস মাঠের খোঁজ শুরু করে দিতে বলেন। অগস্টের শেষে পুণের প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি। তার আগেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাবাস। পুণের এক কর্তা বলছিলেন, ‘‘হাবাস যে কড়া কোচ সেটা আগে শুনেছি। এ বার সামনা-সামনি দেখছি। উনি মাঠের সঙ্গে আরও একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। প্র্যাকটিসের সময়ের সঙ্গে কোনও আপস হবে না। যে সময় প্র্যাকটিস চাইবেন, সেই সময়ই দিতে হবে।’’
এখনও পর্যন্ত যা খবর, পুণে সিটি তাদের প্রায় সব বিদেশি ফুটবলারকে ছেড়ে দিচ্ছে (নতুন শুধু চেন্নাইয়ান এফসি-র গোলকিপার এডেল বেটে চূড়ান্ত হয়েছেন)। বাকি নতুন বিদেশি কাদের নেওয়া হবে, সেটা আগামী তিন মাসে ঠিক করে তালিকা পাঠাবেন হাবাস। ভারতীয় ফুটবলারদের ক্ষেত্রে অবশ্য অন্য ফর্মুলা তাঁর। বিশেষ করে তরুণদের নিয়ে। কর্তাদের স্কাউট করতে বলেছেন। দরকার পড়লে প্রাক-মরসুম শুরুর এক সপ্তাহ আগে এসে তিনি নিজের হাতে বেছে তালিকা চুড়ান্ত করবেন। সোমবার চুক্তিবদ্ধ হয়ে পরের দিনই মাদ্রিদ ফিরে যাচ্ছেন হাবাস।