বিতর্ক: দেবাঙ্গদের এক সঙ্গে দুই পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন। ফাইল চিত্র
এক দিকে তিনি জাতীয় নির্বাচক কমিটির সদস্য, অন্য দিকে বাংলারও নির্বাচকপ্রধান। বাংলার প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার দেবাঙ্গ গাঁধীর একসঙ্গে এই দুই পদে থাকা নিয়েই এ বার প্রশ্ন উঠে গেল।
সম্প্রতি দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা শরণদীপ সিংহের নির্বাচক হওয়ার আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। শরণদীপও জাতীয় নির্বাচক কমিটির সদস্য। তিনি দিল্লির নির্বাচক কমিটির প্রধান হতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন সম্প্রতি। জানিয়েছিলেন, বিনা পারিশ্রমিকেই তিনি দিল্লির নির্বাচক হতে রাজি আছেন। কিন্তু তাঁর আবেদন নাকচ হয়ে যায়। জাতীয় নির্বাচককে ইন্টারভিউতেও ডাকেননি মদন লালের ক্রিকেট অ্যাফেয়ার্স কমিটি। এই কমিটিই দিল্লির কোচ ও নির্বাচক বাছার দায়িত্বে রয়েছে। মদনলালদের বক্তব্য, লোঢা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন কমিটির সদস্যরা রাজ্য সংস্থার নির্বাচক হিসেবে থাকতে পারবে না। সেই সুপারিশ মেনেই শরণদীপের আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
তা হলে দেবাঙ্গই বা দুই পদে এক সঙ্গে কী করে রয়েছেন? সিএবি যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়ার বক্তব্য, ‘‘লোঢা সুপারিশ তো এখনও আমাদের সংস্থায় কার্যকর করা হয়নি। তা ছাড়া নির্বাচকদের নিয়ে আমাদের কাছে এমন কোনও নির্দেশও আসেনি। তাই এই নিয়ে আমরা কোনও ভাবনা-চিন্তাও করিনি। সুপারিশ কার্যকর করার সময় না হয় এই ব্যাপারে ভাবা যাবে।’’ লোঢা কমিটির সুপারিশে বলা আছে, বোর্ড ও রাজ্যের কমিটিতে কেউ একসঙ্গে থাকতে পারবে না। তা নির্বাচকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কি না, তা অবশ্য নির্দিষ্ট ভাবে বলা নেই। তবে যেহেতু যে কোনও কমিটির সদস্যদের ক্ষেত্রেই এই সুপারিশ কার্যকর করা উচিত বলে জানায় লোঢা কমিটি, তাই হয়তো নির্বাচকদেরও এর আওতায় রেখেছে দিল্লি।
শুধু দেবাঙ্গই নন, একই প্রশ্ন নির্বাচকদের প্রধান এমএসকে প্রসাদকে নিয়েও। আগে জাতীয় নির্বাচকরা নিজেদের রাজ্য সংস্থার নির্বাচক প্রধান থাকতেন। সেই প্রথামতোই দেবাঙ্গ ও প্রসাদ দু’জনেই রাজ্যের নির্বাচক প্রধান রয়েছেন।
এ দিকে দিল্লির কোচ হওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিলেন বাংলার প্রাক্তন রঞ্জি কোচ ও ক্রিকেটার অশোক মলহোত্র। ইন্টারভিউয়ের পর অশোক বলেন, ‘‘ভালই ইন্টারভিউ দিয়েছি। আমি আশাবাদী।’’ প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার মদন লালের কমিটির সামনে অশোক ছাড়াও ইন্টারভিউ দেন বিজয় দাহিয়া, মনোজ প্রভাকর, কেপি ভাস্কররাও।