ললিত মোদী বনাম সুরেশ রায়না যুদ্ধ দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেল।
এবং প্রথম রাউন্ডে রায়না যদি ব্যাকফুটে চলে গিয়ে থাকেন, তা দ্বিতীয় রাউন্ডটা তাঁর হয়ে থাকল।
রায়না জানিয়ে দিলেন, ললিত মোদীর বিরুদ্ধে তিনি আইনি পদক্ষেপের দিকে যেতে পারেন।
দিন কয়েক আগে রায়না-সহ তিন সিএসকে ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছিলেন মোদী। টুইটারে প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যানের একটা ই-মেল ফাঁস হয়ে যায়। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল, এক রিয়েল এস্টেট টাইকুনের থেকে ‘উপহার’ নিয়েছিলেন রায়নারা। যার পর ক্রিকেটবিশ্বে ঝড় উঠে যায়। ভারতীয় বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর তড়িঘড়ি বিবৃতি দিয়ে বলেন যে, আইসিসি যখন কিছু জানায়ানি, তাই রায়নাদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হবে না। চব্বিশ ঘণ্টা পর নতুন বিবৃতি দেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া। বলে দেন, ব্যাপারটা আইসিসির তদন্তাধীন বলে কোনও মন্তব্য করবে না বোর্ড। জলঘোলা আরও বেড়ে যায়, জিম্বাবোয়ে সফরের টিমে রায়নাকে না রাখায়। প্রশ্ন ওঠে, টিমে না রেখে তা হলে কি রায়নাদের আগলানোর চেষ্টা করছে বোর্ড? যাতে মিডিয়ার নজরের বাইরে নিয়ে যাওয়া যায় রায়না-জাডেজাদের?
ভারতের ওয়ান ডে টিমের নির্ভরযোগ্য বাঁ হাতি এত দিন কিছু বলেননি। বর্তমানে তিনি ছুটি কাটাতে বিদেশে। কিন্তু তাঁর এজেন্ট সংস্থার পক্ষ থেকে পাল্টা বিবৃতি পেশ করা হল।
যেখানে রায়না বলে দিলেন, কোনও দিন কোনও অন্যায় কাজকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন না।
‘‘আমাকে ঘিরে সাম্প্রতিক মিডিয়া রিপোর্ট দেখার পর বিশ্বজোড়া ফ্যানদের আমি বলতে চাই যে, সব সময় আমি সঠিক স্পিরিট মেনে ক্রিকেটটা খেলেছি। সততার সঙ্গে খেলেছি।’’ এখানেই না থেমে রায়না আরও যোগ করেন, ‘‘কখনও কোনও অন্যায় কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকিনি। যা যা অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে সব মিথ্যে। ক্রিকেট আমার প্যাশন। যখন যে টিমের হয়ে খেলেছি, ওই প্যাশন নিয়ে নেমেছি। এ ব্যাপারে কী কী ধরণের আইনি পদক্ষেপ আমি নিতে পারি, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছি।’’
এ বার দেখার, যুদ্ধের তৃতীয় রাউন্ডটা কার হয়।