রোনাল্ডোদের ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় রাকেশ, সঞ্জুরা

মাদ্রিদের আবাসিক শিবিরে বসে এখন প্রতীক্ষার দিন গুনছেন সঞ্জু প্রধান, কিংশুক দেবনাথ, কেভিন লোবো, ডেঞ্জিল ফ্রাঙ্কোরা! শনিবার বের্নাবাও-এ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, পেপে, র্যামোসদের সঙ্গে গাবি, দিয়েগো গোদিনদের লড়াই দেখার জন্য। লা লিগার প্রথম ডার্বির সাক্ষী থাকতে চলেছেন আটলেটিকো দে কলকাতার ফুটবলাররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৪:১৫
Share:

মাদ্রিদের রাস্তায় রাকেশ।

মাদ্রিদের আবাসিক শিবিরে বসে এখন প্রতীক্ষার দিন গুনছেন সঞ্জু প্রধান, কিংশুক দেবনাথ, কেভিন লোবো, ডেঞ্জিল ফ্রাঙ্কোরা!

Advertisement

শনিবার বের্নাবাও-এ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, পেপে, র্যামোসদের সঙ্গে গাবি, দিয়েগো গোদিনদের লড়াই দেখার জন্য।

লা লিগার প্রথম ডার্বির সাক্ষী থাকতে চলেছেন আটলেটিকো দে কলকাতার ফুটবলাররা।

Advertisement

স্পেন থেকে সঞ্জু, শৌভিকরা কী শিখে ফিরছেন, সেটা তো আইএসএলের সময় বোঝা যাবে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম আটলেটিকো মাদ্রিদের ম্যাচ দেখা নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি হতে চলেছে কলকাতার ফুটবলারদের। এ দিন মাদ্রিদ থেকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে রাকেশ মাসি জানালেন, “এই মরসুমে লা লিগার প্রথম ডার্বির সাক্ষী থাকব আমরা। এটা ভেবে বেশ উত্তেজনা হচ্ছে।” শুভাশিস রায়চৌধুরীও লিখেছেন, “রিয়াল বনাম আটলেটিকো মাদ্রিদের ম্যাচ দেখা আমাদের কাছে সত্যি বাড়তি পাওনা। রিয়াল স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেছি। কিন্তু সেই স্টেডিয়ামে বসে মাদ্রিদ ডার্বি দেখব। ভাবতেই মন খুশিতে ভরে যাচ্ছে।” এর আগে অবশ্য আটলেটিকো দি কলকাতার কর্তারা চেষ্টা করেছিলেন, ডেঞ্জিল-সঞ্জুদের স্প্যানিশ সুপার কাপের রিয়াল বনাম আটলেটিকোর ম্যাচ দেখানোর। কিন্তু সে সময় ভিসা সমস্যার জন্য আর সেটা হয়ে ওঠেনি।

লুই গার্সিয়ার সঙ্গে সতীর্থরা।

মাদ্রিদে লোপেজ হাবাসের শিবিরের নিয়ম বেশ কড়া। সারা সপ্তাহ সকাল-বিকেল দু’বেলা অনুশীলনের পর আবার নিয়ম করে জিমেও যেতে হচ্ছে ফুটবলারদের। শহরের বাইরে ক্যাম্প হওয়ায় নিজেদের মতো ঘোরাফেরারও সুযোগ নেই বলজিত্‌ সাইনিদের। সপ্তাহের শেষে অবশ্য ছবিটা একেবারে বদলে যায়। পুরো ছুটির মেজাজে পাওয়া যায় লোপেজ হাবাসের দলকে। ঘুরে বেড়ানো, শপিং করা, রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করা সব কিছুরই অনুমতি পান রাকেশ-ক্লাইম্যাক্সরা। তবে নিজের ইচ্ছেমতো নয়। পুরো টিমের সঙ্গেই ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। আবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে আনাও হয়। দলের মার্কি ফুটবলার লুইস গার্সিয়া থেকে মোহনবাগানের সৌভিক ঘোষ, কিংশুক দেবনাথ সবার ক্ষেত্রেই এক নিয়ম। শুভাশিস যেমন জানিয়েছেন, “এখানে সব কিছু নিয়ম মেনেই করতে হয়। তবে এর মধ্যেও কিন্তু আমরা মজা করি। হাসিঠাট্টা করি। সমস্যা হয় না। সবাই আমরা যেন এক পরিবার হয়ে উঠেছি।” সঞ্জু আবার লিখেছিলেন, “বিদেশি ফুটবলার যাঁরা দলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাও বন্ধু হয়ে গিয়েছে। মার্কি ফুটবলার লুইস গার্সিয়াও কিন্তু আমাদের সঙ্গে মিশছেন। বলতেই পারি, আমরা এখন থেকেই টিম হয়ে উঠেছি।”

এখন দেখার, মাদ্রিদের এই শিবিরের অভিজ্ঞতা আইএসএলে কতটা কাজে লাগে লোবো-কিংশুকদের!

ছবি ফেসবুক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন