বিশ্বকাপের আগে শেষ বার ঘরের ছেলেকে দেখতে উন্মাদনা রাঁচিতে

সাতশোর টিকিট? শেষ। ন’শো? একটাও পড়ে নেই। হাজার বা বারোশো? চোখের নিমেষে নিঃশেষ। শহরের প্রাণকেন্দ্রে চলাফেরা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। একটা নির্দিষ্ট রাস্তা ঘিরে উপচে পড়ছে ভিড়।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

রাঁচি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:৩১
Share:

বৃহস্পতিবার রাঁচিতে। ছবি: এএফপি।

সাতশোর টিকিট? শেষ। ন’শো? একটাও পড়ে নেই। হাজার বা বারোশো? চোখের নিমেষে নিঃশেষ। শহরের প্রাণকেন্দ্রে চলাফেরা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। একটা নির্দিষ্ট রাস্তা ঘিরে উপচে পড়ছে ভিড়।

Advertisement

আর শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত ঠিকানা? তার সামনের চওড়া রাস্তায় তিলধারণের জায়গা নেই!

বৃহস্পতিবারের রাঁচি। ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির চব্বিশ ঘণ্টা আগের রাঁচি। বা আরও ভাল করে বললে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ বার ঘরের ছেলেকে দেখে নেওয়ার, তাকে শুভেচ্ছা জানানোর আর্তিতে ব্যাকুল রাঁচি।

Advertisement

সামনের মাস থেকে দেশের মাঠে শুরু হয়ে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু ভারত অধিনায়কের ঘরের মাঠের ভাগ্যে বিশ্বকাপের শিকে ছেঁড়েনি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ভারত-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি আলাদা একটা মাত্রা পাচ্ছে শহরবাসীর কাছে। শুক্রবারের মঞ্চেই তাঁরা বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা দিতে চান মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। বিশ্বকাপের পরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিতে পারেন ধোনি, এমন গুজব বেশ কয়েক দিন ধরেই চলছে। তাই শুক্রবারের দেখাই শেষ দেখা হতে পারে, এমন ভাবনাও ঘোরাফেরা করছে শহরবাসীর মনে।

শুক্রবারের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার আরও একটা কারণ থাকছে। তিনটে টি-টোয়েন্টির সিরিজে এটা ভারতের কাছে মরণবাঁচন ম্যাচ। পুণেতে প্রথম ম্যাচ অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরে গিয়েছে তারা। শুক্রবার না জিততে পারলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নামতে হবে ঘরের মাঠে অনভিজ্ঞ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সিরিজ হারের লজ্জা নিয়ে।

সব মিলিয়ে শীতের রাঁচিতে এখন ভাল রকম উষ্ণতার ছোঁয়া। টিকিটের চাহিদা গগনচুম্বী, চল্লিশ হাজার দর্শক আসনের মাঠ কানায় কানায় ভরে ওঠার আভাস, টিম হোটেল বা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বাড়ির সামনে জনযট। শ’য়ে শ’য়ে লোকের ভিড়ে মাঝদুপুরে শহরের লাইফলাইন রাঁচি মেন রোডে গাড়ি চলা দূরের কথা, হাঁটার জায়গা পাওয়ায় কঠিন হয়ে যায়। টিমের সঙ্গে হোটেলে না গিয়ে ধোনি নিজের বাড়ি চলে গিয়েছেন, এই খবর যাঁদের কাছে ছিল তাঁরা আবার ভিড় জমান হারমুর এলাকায় ভারত অধিনায়কের বাড়ির সামনে।

উৎসবের মেজাজে হালকা আশঙ্কা যদি কিছু থাকে তো সেটা রাঁচির আবহাওয়া। এ দিন প্রায় গোটা দিন আকাশ মেঘলা ছিল। শুক্রবার ম্যাচের দিনও আকাশের অবস্থা একই রকম থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রাঁচির আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর বিকে মণ্ডল অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন, ‘‘আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও এখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement