গনিদের নিয়ে চিন্তায় মনোজদের শিবির

রঞ্জি ট্রফিতে দুই ম্যাচে দশ পয়েন্ট পেয়ে বাংলা এখন কোয়ার্টার ফাইনালের দৌড়ে গ্রুপে সবার উপরে। এই অবস্থায় তিনজনের মধ্যে কেউ চোট পেয়ে গেলে তখন সিনিয়র দল সমস্যায় পড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন দলের কেউ কেউ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৫৯
Share:

অনূর্ধ্ব ২৩ বাংলা দলকে বাঁচানোর জন্য সিনিয়র দল থেকে তিন ক্রিকেটার নিয়ে নেওয়ার ফলে চিন্তায় পড়েছে সিনিয়র বাংলা শিবির।

Advertisement

রঞ্জি ট্রফিতে দুই ম্যাচে দশ পয়েন্ট পেয়ে বাংলা এখন কোয়ার্টার ফাইনালের দৌড়ে গ্রুপে সবার উপরে। এই অবস্থায় তিনজনের মধ্যে কেউ চোট পেয়ে গেলে তখন সিনিয়র দল সমস্যায় পড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন দলের কেউ কেউ। তা ছাড়া সিনিয়র টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে কোনও পরামর্শ না চেয়েই এই তিন ক্রিকেটারকে ছোটদের দলে ডেকে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ, সিনিয়র দলের কোচ ও ক্যাপ্টেনকে শুধু সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিএবি-র পক্ষ থেকে, তাদের কাছ থেকে এই ব্যাপারে কোনও মতামত চাওয়া হয়নি বা পরামর্শও করা হয়নি।

অনূর্ধ্ব ২৩ কর্নেল সিকে নাইডু ট্রফিতে বাংলা শেষ দুই ম্যাচে যাতে ভাল কিছু করে সম্মান বাঁচাতে পারে, সে জন্য সিনিয়র দল থেকে ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন, কণিষ্ক শেঠ ও আমির গনিকে দলে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে কল্যাণীতে বাংলা খেলবে অন্ধ্র প্রদেশের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে বাংলাকে বাঁচানোর দায়িত্ব এই তিনজনের উপরেই। তিনজনই আবার বাংলার সিনিয়র দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। এঁদের মধ্যে কেউ যদি চোট পেয়ে যান, তা হলে দলের কম্বিনেশন নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে সিনিয়র শিবিরের অনেকের ধারণা। তা ছাড়া ২৯ তারিখ অনূর্ধ্ব ২৩-এর ম্যাচ শেষ করে তাদের ফের ১ নভেম্বর সিনিয়রের হয়ে মাঠে নামতে হবে। এটাও একটাচিন্তার বিষয়। এই ব্যাপারে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেন, ‘‘এই অবস্থায় ওদের তিনজনের কেউ চোট পেলে আমাদের একটু সমস্যা হবে ঠিকই। তবে অনূর্ধ্ব ২৩ দলের বিপদের সময় তো ওদের জন্য এটুকু ঝুঁকি নিতেই হবে।’’ অভিমন্যুদের নেওয়ার আগে তাঁদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল কি না, তা জানতে চাইলে মনোজ অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এ দিকে এই দলের ছেলেদের তাতানোর জন্য ভিভিএস লক্ষ্ণণকে এনে ‘পেপটক’ দেওয়ার কথা থাকলেও প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যানের ব্যস্ততার জন্য শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠল না। মঙ্গলবারই দল কল্যাণী পৌঁছে যায়। লক্ষ্মণও মুম্বইতে ব্যস্ত টিভি ধারাভাষ্যের কাজে।

Advertisement

এ দিকে আবার ১ নভেম্বর থেকে ইডেনে রঞ্জির ম্যাচ হওয়া নিয়ে কিছুটা হলেও অনিশ্চয়তা রয়েছে। বোর্ডের নিয়মে টেস্ট ম্যাচের ১৫ দিন আগে থেকে সেই মাঠে কোনও ম্যাচ খেলা যায় না। ১৬ নভেম্বর থেকে ইডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট। তার আগে ১ তারিখ থেকে কোনও ম্যাচ হওয়ার কথা নয়। সিএবি ইডেনে ম্যাচ করাতে চাইলেও এই ব্যাপারে বোর্ডের অনুমতি এখনও এসে পৌঁছয়নি সিএবি-তে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন