গুরগাওয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে। ছবি: পিটিআই।
ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে বাইশ গজে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বারকয়েক খটাখটি হয়তো লেগেছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলীয় ওপেনারের একটা কথাকে এ দিন ঘুরিয়ে হলেও সমর্থন করলেন দেশের এক নম্বর স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
তাঁর সতীর্থদের ওয়ার্নার বলেছিলেন, ‘‘সেভ অল ইওর বিগ শটস ফর স্মল ইন্ডিয়ান গ্রাউন্ডস।’’ উপমহাদেশের মাঠে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে পরপর দু’টো বৃহত্তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট— বাংলাদেশে এশিয়া কাপ আর ভারতে বিশ্বকাপ। যার কয়েক দিন আগে আজ আনন্দবাজারকে অশ্বিন বললেন, “অস্ট্রেলিয়াকে ওদের মাঠে এই সেদিন আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ হারালেও এশিয়া কাপে ভারত মোটেই ফেভারিট নয়। কারণ, উপমহাদেশের মাঠগুলো ছোট হয়। তাই বোলাররা এখানে সব সময় চাপে থাকে। টি-টোয়েন্টির ফর্ম্যাটে তো আরওই বেশি চাপে থাকবে। তাই আমাদের বোলিং ইউনিটের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।”
গুরগাওয়ে ‘লাউঞ্জ ক্রিকেট’-এর উদ্বোধনে এসেছিলেন সদ্য অস্ট্রেলিয়া সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ বোলিং করা অশ্বিন। যিনি বললেন, “আমার তাই মনে হয়, এশিয়া কাপের ওই পনেরো দিন যে দল ভাল খেলবে তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে। আমাদের তো আরওই মনে রাখা দরকার যে, এশিয়া কাপে শুরুটা ভাল করতেই হবে। কারণ, বাংলাদেশে এশিয়া কাপ। আর ভারত টুর্নামেন্ট শুরুই করছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আমরা কিন্তু গত বছরই বাংলাদেশের কাছে ওদের দেশে সীমিত ফর্ম্যাটে সিরিজ হেরেছি।”
নিজের দলকেই যেন সতর্ক করে দিলেন অশ্বিন। ধোনির টিম ইন্ডিয়া-র সেরা স্পিনার বললেন, “অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় মাঠে খেলা এক জিনিস আর উপমহাদেশের ছোট মাঠ আর পাটা উইকেটে খেলা আরেক জিনিস। এ ধরনের গ্রাউন্ড ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য। এ রকম মাঠে আমাদের খুব বুদ্ধি করে বল করতে হবে। না হলেই বিপদ।”
এশিয়া কাপ তো বটেই, তার আগে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকেও ভারতীয় দলের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ওয়ার্ম আপ হিসেবে দেখছেন অশ্বিন। বললেন, “গত বছর আমরা সাকুল্যে দশটা আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছি। তাই বিশ্বকাপের মুখে দাঁড়িয়ে এখন যা-ই টি-টোয়েন্টি ভারত খেলবে, প্রত্যেকটাই আমাদের কাছে বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ ম্যাচ। নিজেদের অবস্থান ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে এই ম্যাচগুলোতেই বুঝে যাব। আর সেই মতোই আমরা ঝাঁপাব নিজেদের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।”
বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। যারা নাথান ম্যাকুলাম-সহ তিন স্পিনার নিয়ে নামবে বলে এখন থেকেই খবর ক্রিকেটমহলে। যে প্রসঙ্গে বিশ্বের সেরা অফস্পিনার অশ্বিন বললেন, “বিশ্বকাপে শুধু নিউজিল্যান্ডই নয়, প্রত্যেক দলই কঠিন প্রতিপক্ষ।’’ অশ্বিনের সঙ্গে কথা বলার সময় তখনও কয়েক কিলোমিটার দূরে দিল্লিতে ভারতের বিশ্বকাপ দল ঘোষিত হয়নি। তবু তিনি তখনই বলছিলেন, “বুমরাহ আর হার্দিক দারুণ করেছে অস্ট্রেলিয়ায়। ওদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি আশাবাদী। তা ছাড়া বাঁ-হাতি স্পিনার নেগিও এই ফর্ম্যাটে চমৎকার ‘ইউটিলিটি’ প্লেয়ার। বিশ্বকাপে আমাদের দলের ভারসাম্য আরও বাড়বে বলেই আমার বিশ্বাস।”