পর্দার গীতাদের মধ্যেও পদক দেখছেন কোচ

আমির খানের দঙ্গলের সৌজন্যে তাঁরা এখন রাতারাতি বিখ্যাত— ফতিমা সানা শেখ এবং সানিয়া মলহোত্র। পর্দায় কুস্তিগির গীতা আর ববিতার চরিত্রে যাঁরা মাতিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৪০
Share:

‘দঙ্গল’-এর দুই মেয়ে। (ডান দিকে) গীতা-ববিতাকে নিয়ে মহাবীর। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। -রমাকান্ত কুশওয়া

আমির খানের দঙ্গলের সৌজন্যে তাঁরা এখন রাতারাতি বিখ্যাত— ফতিমা সানা শেখ এবং সানিয়া মলহোত্র। পর্দায় কুস্তিগির গীতা আর ববিতার চরিত্রে যাঁরা মাতিয়ে দিয়েছেন। রূপোলি পর্দায় তাঁদের দেখার পর দর্শকদের অনেকেরই প্রশ্ন, দু’জন কি সত্যিই কুস্তিগির না নিখুঁত অভিনয়?

Advertisement

বাস্তব চিত্রটা মঙ্গলবার তুলে ধরলেন ফতিমা আর সানিয়ার প্রশিক্ষক কৃপা শঙ্কর বিষ্ণোই। কমনওয়েলথ গেমসের সোনাজয়ী কৃপাশঙ্কর বলছেন, আমির খান তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন গীতা আর ববিতার মতো দেখতে অভিনেত্রী খুঁজে তাঁদের তৈরি করার। সেই মতো অডিশনেই বেছে নেওয়া হয় দু’জনকে। তাঁর পর কঠিন ট্রেনিং। তবে কুস্তির কোনও অভিজ্ঞতা না থাকলেও দু’জনের পারফরম্যান্সে কৃপাশঙ্কর অভিভূত। এতটাই যে তিনি বলছেন, ‘‘ওরা প্রচণ্ড প্রতিভাবান। ওরা যদি সত্যিই কুস্তিগির হতো, অলিম্পিক্স পদক জিততে পারত।’’

পর্দার গীতা চ্যালেঞ্জ সামলেছেন দারুণ ভাবে। এ দিকে বাস্তব জীবনের গীতার সামনেও এখন অন্য চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন পর চোট কাটিয়ে কুস্তির ম্যাটে ফেরার টেনশন। তার মধ্যে আবার আমির খানের ‘দঙ্গল’-এর সৌজন্যে প্রচারের আলোয় থাকার ব্যস্ততা। গীতা ফোগত এখন প্রবল চাপে। তবে এই চ্যালেঞ্জকে ভয় পাচ্ছেন না গীতা। পুরনো দিনগুলো মনে আছে যে। মনে আছে বাবা মহাবীর সিংহ দিনের পর দিন কেমন কঠিন অনুশাসনে, আখরায় তৈরি করেছেন তাঁকে আর তাঁর বোনদের।

Advertisement

তাই প্রো-রেসলিং লিগে নামার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গীতা বলে দিচ্ছেন, ‘‘ছোটবেলায় দেখেছি কঠিন ট্রেনিং কাকে বলে। অনেক বার মনে হয়েছে আর পারছি না। আখরা থেকে পালিয়ে যাব। কিন্তু সেই খাটাখাটনির ফল পাওয়ার পর এখন বুঝতে পারি পরিশ্রমের মূল্য কী। জানি কামব্যাক করার একটা চাপ রয়েছে। তবে আমাদের ভিতটা এত ভাল তো, তাই আত্মবিশ্বাসটাও মজবুত।’’ প্রো-রেসলিং লিগে তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি ইউপি দঙ্গলের লোগে উদ্বোধনের পর গীতা আরও বললেন, ‘‘দঙ্গল সিনেমার প্রচার, প্রচুর সাক্ষাৎকার দেওয়ার ব্যস্ততা আছে ঠিকই। তবে এত সবের মধ্যেও দিনে এক বার অন্তত প্র্যাকটিস করার কথা কিছুতেই ভুলি না। এটা কী করে ভুলি যে আজ আমরা যা কিছু তার সবটাই কুস্তির জন্য। তাই যাই হোক না কেন প্র্যাকটিসের জন্য সময় বার করে নিতেই হয়।’’

গীতার বোন ববিতাও প্রো-রেসলিং লিগে খেলছেন। ববিতার টার্গেট লিগে বিদেশি কুস্তিগিরদের থেকে নতুন নতুন টেকনিক শেখা। ‘‘আমাদের দলটা বেশ শক্তিশালী এ বার। আমাদের দলে বেশ ভালো কয়েকজন বিদেশি কুস্তিগিরও আছে। তাদের কাছে নতুন টেকনিক শেখার ইচ্ছে আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন