রিয়াল মাদ্রিদ কি সত্যিই ছাড়তে পারবেন রোনাল্ডো?
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দল বদলে প্যারিস সাঁ জাঁতে যাওয়া আটকে যেতে পারে। ২০১৭ পর্যন্ত সিআর সেভেন রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তেই পারবেন না, এ রকম বিধিনিষেধে পড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, ফিফার শাস্তি। যে শাস্তিতে বার্সেলোনা দুটো ট্রান্সফার উইন্ডোতে কোনও বিদেশি ফুটবলার সই করাতে পারছে না।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী আঠারো বছরের কম কোনও ফুটবলার জাতীয় ফেডারেশন বদলাতে চাইলে তার জন্য নিয়ম রয়েছে। সেই ফুটবলারের বাবা-মা-কে ফুটবল ছাড়া অন্য কোনও কারণে দেশও বদলাতে হবে। যে নিয়ম ভেঙে বার্সেলোনা ফিফার শাস্তির কোপে পড়েছে। এ বার একই ভাবে নিয়ম ভেঙে শাস্তি পেতে পারে লা লিগার দুই ক্লাব রিয়াল ও আটলেটিকো মাদ্রিদ। তেমনটাই খবর ব্রিটিশ মিডিয়ার। তাই বার্সেলোনা নাকি চাইছে যত দ্রুত সম্ভব ফিফা শাস্তি ঘোষণা করুক রিয়ালের বিরুদ্ধে। যাতে রোনাল্ডোর ক্লাব ছাড়া রুখে দেওয়ার পাশাপাশি আটকে দেওয়া যায় চেলসির তারকা ফুটবলার এডেন হ্যাজার্ডের রিয়ালে আসার সম্ভাবনা।
এমনিতেই রোনাল্ডোর রিয়াল ছাড়ার জল্পনা নিয়ে ফুটবল বিশ্ব উত্তাল। তার উপর ফিফার নিয়ম ভাঙার শাস্তির কথা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই কম হচ্ছে না। কোচ রাফা বেনিতেজ না ছাড়লে ক’দিন আগেই এল ক্লাসিকোয় রোনাল্ডো ফের ক্লাব ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু ঘটনা হল রিয়াল বা আটলেটিকোকে এখনও ফিফা শাস্তির ব্যাপারে কিছু জানায়নি। আভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে দুই লা লিগা ক্লাবের উপর ফিফার শাস্তি চাপানোতে দেরি হচ্ছে বলে মনে করছে বার্সা। তাই কাতালান ক্লাব এই নিয়ে ফিফার ঢিলেমিতে অখুশি। ঘটনা হল ফিফা রিয়ালকে নিয়ম ভাঙার ব্যাপারে দ্রুত না জানালে আগামী ট্রান্সফার উইন্ডোতে রোনাল্ডো আর হ্যাজার্ডের দল বদল হয়তো আটকাবে না।
এমনকী চলতি বছরের একেবারে শেষ দিকে জানালেও জানুয়ারিতে রোনাল্ডোদের ক্লাব বদল রোখা যাবে না। কেন না তখন রিয়ালের আবেদনের পর্ব চলবে। তবে নতুন কোনও প্লেয়ারকে সই করা আটকে যাবে। আর বাইরের কোনও ফুটবলারকে সই করালেও ২০১৭-র আগে মাঠে নামাতে পারবে না রিয়াল। তাই এখন দেখার বার্সেলোনার ক্ষোভ সামনে রেখে ফিফা রিয়ালকে দ্রুত নোটিস পাঠায় কি না।