টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করলেও খুব দুশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না জিনেদিন জিদান। তাঁর মতে, এটা খুবই স্বাভাবিক ফল।
বের্নাবাউতে মঙ্গলবার রাতে রাফায়েল ভারানের আত্মঘাতী গোলে প্রথমে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। তার পর ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন রোনাল্ডো। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেনি কোনও দলই। দু’দলের দুই গোলকিপার অসাধারণ সব ‘সেভ’ করেন। জিদান যদিও বলছেন, ‘‘আমরা দারুণ একটা দলের বিরুদ্ধে খেলেছি। ড্র মোটেও অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়, বরং খুব স্বাভাবিক একটা ফল।’’
রিয়াল ভক্তদের মধ্যে যদিও নতুন এক উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। সেটা হচ্ছে, ঘরের মাঠে রোনাল্ডোদের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা। সুপারকোপায় বার্সেলোনাকে হারানোর পর এ নিয়ে গত ছ’টি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিততে পারল না রিয়াল। তার মধ্যে রয়েছে তিনটি ড্র এবং রিয়াল বেতিসের কাছে হার। রিয়ালের আর একটি সমস্যা জিদানের আমলে তাদের চাপে থাকা রক্ষণ ভাগ। মঙ্গলবারেও আত্মঘাতী গোল খেয়েছে তারা। জিদান-জমানায় ১০১টি ম্যাচে তারা ১০২ গোল হজম করেছে। সেই দুর্বলতা ততটা প্রকট হয়নি কারণ রিয়াল ট্রফি জিতে চলছিল বলে। চলতি মরসুমে ১৪টি ম্যাচ খেলেছে রিয়াল। তার মধ্যে মাত্র চারটি ম্যাচে গোল খায়নি তারা। নাভাসের বিশ্বস্ত হাত না থাকলে মঙ্গলবার টটেনহ্যাম তাদের হারিয়েও যেতে পারত।
জিদান যদিও আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ দেখছেন না। তিনি বলছেন, ‘‘টটেনহ্যাম ভাল ফুটবল খেলেছে। আমাদের এখন ওয়েম্বলিতে জেতার চেষ্টা করতে হবে। গ্রুপ ‘এইচ’-এ এখন রিয়াল এবং টটেনহ্যাম রয়েছে শীর্ষে। দু’দলের পয়েন্ট ৭, গোল পার্থক্যেও তারা সমান (৫)। ওয়েম্বলিতে যারা জিতবে, তাদেরই গ্রুপ শীর্ষে থাকার সম্ভাবনা। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড মঙ্গলবারেও আপোয়েল নিকোসিয়ার সঙ্গে ১-১ ড্র করায় তিন ম্যাচ থেকে জার্মানির ক্লাবের পয়েন্ট ১। গোল পার্থক্যেও তারা অনেক পিছিয়ে।