কিংবদন্তি: ফরাসি ওপেনে রজারের পাশে রাফা। ছবি: রয়টার্স।
রজার ফেডেরার কি কখনও ফরাসি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হতে পারতেন?
কিংবদন্তি সুইস তারকা নিজেই জানালেন, ২০০৯ সালের প্রতিযোগিতায় রাফায়েল নাদাল আগেই হেরে না গেলে তিনি হয়তো প্যারিসে একবারও ট্রফি জিততে পারতেন না। সে বার সুইডেনের রবিন সোডার্লিংকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন রজার। সোডার্লিংয়ের কাছেই সে বার নাদাল হেরে যান চতুর্থ রাউন্ডে। রবিবার ফিলিপ শঁতিয়ে-তে ‘সেলিব্রেটিং দ্য কিং’ অনুষ্ঠানে রাখঢাক না করে সে কথাই অকপটে স্বীকার করে নিলেন ফেডেরার।
কিংবদন্তি তারকা বললেন, ‘‘২০০৪ সাল পর্যন্ত আমি ফরাসি ওপেন বাদে প্রতিটি গ্র্যান্ড স্লামই জিতেছিলাম। তাই সে বার খেতাব জিততে সত্যিই মরিয়া ছিলাম আমি। আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল পাঁচ-ছ’বছর। প্যারিসে ট্রফি ধরাটা তাই আমার জীবনের এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। আমার ভাগ্য ভাল যে সে বার রাফার সঙ্গে ফাইনালে খেলতে হয়নি। তাই অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়ে ফাইনালে নেমেছিলাম। কিন্তু তার পরে আর সুযোগ আসেনি। কারণ তার পর থেকে প্রতিবারই রাফা বলত ‘দুঃখিত, এ বার আমার পালা।’ তাই আর কখনও প্যারিসে ট্রফি জেতাও হয়নি।’’
রবিবারের ফরাসি ওপেনের রাজা নাদালের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফেডেরার ছাড়াও ছিলেন নোভাক জোকোভিচ এবং অ্যান্ডি মারে। চারমূর্তিকে নিয়ে হওয়া এই অনুষ্ঠানে রাফার মতোই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ফেডেরার। গত বছরই টেনিস থেকে অবসর নেওয়া ফরাসি মহাতারকা ফেডেরারের চোখে অবিশ্বাস্য এক প্রতিভা। বলেন, ‘‘আমি মনে করি, ওই পর্যায়ের একজন খেলোয়াড়ের বিদায় সংবর্ধনা অবশ্যই প্রাপ্য। আমার তো মনে হয় ও টেনিসের একজন দৈত্য। ভাল লাগছে নোভাক, অ্যান্ডির সঙ্গে এখানে হাজির থাকতে পেরে। অসাধারণ একটি অনুষ্ঠান।’’
ফেডেরারের মতোই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা জোকোভিচও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তাঁর কথা, ‘‘আমার খেলোয়াড় জীবনের একটা অংশ ওর কাছেই জমা আছে। তাই নিজেকে উদ্বুদ্ধ করে টেনিস খেলে যাওয়াটা আমার কাছে সত্যিই পরীক্ষার মতো। রাফা অবসর নেওয়ার পরে আমার এমন এক অনুভূতি হয়েছিল, যা আগে কখনও হয়নি। তখন সত্যিই মনে হয়েছিল, এ বার কাকে হারানোর জন্য টেনিসটা খেলব?’’
নোভাক যোগ করেন, ‘‘তখন মনে হয়েছিল, এ বার আমি খেলে কী করব? কোর্টের বাইরে কখনও কখনও তবু মনে হয়েছে, ঠিক আছে আমাকে তো খেলে যেতেই হবে, ওর সরে যাওয়ার প্রভাব পড়বে না আমার উপর। কিন্তু কোর্টে নামার পরে বারবার রাফার অনুপস্থিতির কথাই মাথায় আসত। এই অভাব বোধটা কাটিয়ে উঠতে আমার ছ’মাস লেগে গিয়েছিল।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে