বিশ্বরেকর্ড করেও নির্লিপ্ত নায়ক

শুক্রবার ইনদওরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর দ্রুততম সেঞ্চুরির পর সারা ক্রিকেট বিশ্ব ধন্য ধন্য করলেও রোহিত নিজে বলছেন বিশেষ বা বাড়তি কিছুই তিনি করেননি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:২৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

গত কয়েক মাস ধরে নিজের শট নিয়ে যে পরিশ্রম করেছেন রোহিত শর্মা, এখন তারই ফল পাচ্ছেন হাতেনাতে। শুক্রবার রাতে তাঁর নজির ছোঁওয়া ইনিংস ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পুরস্কার নিতে উঠে এই কথাই জানালেন ভারতীয় দলের ‘হিটম্যান’।

Advertisement

রোহিত বলেন, ‘‘আজকেও সেটাই করেছি, যা বরাবরই করে থাকি আমি। একটা নির্দিষ্ট লাইনে বল মেরে ওড়াও। এটা নিয়ে আমি গত কয়েক মাস ধরে পরিশ্রম করে আসছি। মাঠে নেমে ইনিংসটা উপভোগ করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। আজ পরিবেশটাও ব্যাটিংয়ের পক্ষে আদর্শ ছিল।’’

শুক্রবার ইনদওরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর দ্রুততম সেঞ্চুরির পর সারা ক্রিকেট বিশ্ব ধন্য ধন্য করলেও রোহিত নিজে বলছেন বিশেষ বা বাড়তি কিছুই তিনি করেননি। বলেন, ‘‘আমার ব্যাটিংয়ে একটা নির্দিষ্ট ধরন আছে। আজও সেই ধরনেরই ইনিংস খেলেছি। কখনও অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে যাই না। টাইমিংয়ে আস্থা রাখি।’’

Advertisement

তবে তাঁর কাছ থেকে টি-টোয়েন্টিতে ডাবল সেঞ্চুরি চাওয়াটা একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন ভারতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। বলেন, ‘‘দু’শো-টা বোধহয় একটু বেশিই চাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা যত বেশি সম্ভব রান তুলতে চেয়েছিলাম। কেএল শুরুটা খুব ভাল করেছিল। ও দুর্দান্ত ফর্মে আছে।’’

দলের দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চহাল এ দিন যথাক্রমে তিন ও চার উইকেট নেন। পরপর দু’ওভারে দু’জনে মিলে শ্রীলঙ্কার ছ’টা উইকেট ফেলে দেন। তাঁদের নিয়ে রোহিত বলেন, ‘‘আমাদের স্পিনাররা বরাবরই আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছে। এই ছেলেদুটো কখনও হাল ছেড়ে দেয় না। রক্ষ্মণাত্মক না হয়ে বরং উইকেট নেওয়ার জন্য বলে ফ্লাইট দিতে থাকে। ফলও পায়।’’

এ দিন প্রথম তিন ওভারে ৪৫ রান দেওয়ার পরে শেষ ওভারে তিন উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন কুলদীপ। সে ব্যাপারে তিনি ম্যাচের পরে বলেন, ‘‘অত রান দেওয়ার পরেও উইকেট পাওয়ার চিন্তাটা মাথা থেকে যায়নি। জানতাম একটা পেলে পরেরটাও আসবে। প্রথম ওভারে হাওয়ায় ধীরে বল ভাসাচ্ছিলাম। কিন্তু দেখলাম উইকেটটা ব্যাটিংয়ের পক্ষে ভাল, বল ব্যাটে ভাল আসছে। পরের দিকে ব্যাটসম্যানের আশে পাশে বল করছিলাম। তখনই বুঝলাম উইকেটে বল করতে হবে। মাহিভাই ও রোহিতভাই আমাকে সমানে উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছিল। বলছিল উইকেট তোলার চেষ্টা কর। ওদের উৎসাহেই তেতে গেলাম।’’

এ দিকে শ্রীলঙ্কা শিবিরে দুঃসংবাদ, অ্যাঞ্জলো ম্যাথিউজের হ্যামস্ট্রিং সমস্যা। সম্ভবত শেষ ম্যাচে খেলতে পারবেন না। অবশ্য রবিবার মুম্বইয়ে সেই ম্যাচ শুধুই নিয়মরক্ষার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement