বাগদানের পরে রোহিত-রীতিকা।
নিজের আঠাশতম জন্মদিনের তিন দিনের মধ্যে রোহিত গুরুনাথ শর্মা যে গোটা ভারতবর্ষের জন্য এত বড় একটা চমকের ব্যবস্থা করবেন, কে জানত। রীতিকা সজদে নামের তরুণীকে রোহিতের খেলা থাকলেই দেখা যাচ্ছিল এত দিন। আইপিএল ম্যাচ হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেট— রোহিত শর্মা যেখানে যেখানে ব্যাট হাতে নামতেন, গ্যালারিতে নাকি দেখা যেত রীতিকাকে। দীর্ঘ দিন ধরে রোহিতের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। এক-আধ নয়, ছ’ বছরের পরিচয়। রবিবারের পর দু’জনের সম্পর্কটা আর সফল ক্রিকেটার ও তার ম্যানেজারের থাকল না। ওটা বাগদানে পাল্টে গেল! এ দিন নিজেই টুইট করে যেটা জানিয়ে দেন রোহিত। লিখে ফেলেন, ‘‘সবচেয়ে কাছের বন্ধু থেকে সবচেয়ে কাছের মানুষ, এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে।’’ এখানেই না শেষ করে ভারতীয় টিমের ওপেনার রীতিকার সঙ্গে নিজের একটা ছবিও পোস্ট করে দেন। যেখানে হিরে বসানো আঙটি পরে আছেন রীতিকা। যিনি এর আগে সুরেশ রায়না, শিখর ধবনের ম্যানেজার হিসেবেও ছিলেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অভিনন্দনের বন্যা বইতে শুরু করে। রোহিতকে সবর্প্রথম যিনি অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন, তাঁর নাম যুবরাজ সিংহ।
গত কয়েক মাসে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রেম ও পরিণয়ের বেশ কয়েকটা ঘটনাই ঘটে গিয়েছে। অজিঙ্ক রাহানে বিয়ে করেছেন। সুরেশ রায়নাও বিশ্বকাপ শেষ হতে হতে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েছেন দীর্ঘদিনের বান্ধবী প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে। বিরাট কোহলি প্রকাশ্যে আরও সরব হয়েছেন অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে। ভারতীয় টিমের ‘মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর’ বলতে ছিলেন রোহিত। রবিবারের পর মুম্বইকরও ঢুকে পড়লেন একই সরণিতে।
তবে রোহিতেরটা নাকি আরও রোমাঞ্চকর। আরও নাটকীয়। মুম্বইয়ে ফোন করে শোনা গেল, গত ৩০ এপ্রিল, নিজের আঠাশতম জন্মদিনেই ব্যাপারটা ঘটে। সে দিন রাতে নাকি বান্ধবী রীতিকাকে ড্রাইভ করে বোরিভেলি স্পোর্টস ক্লাবে নিয়ে যান রোহিত। যে ক্লাবে তাঁর ক্রিকেটে হাতেখড়ি। রোহিত নিজেও বোরিভেলির বাসিন্দা। শোনা গেল, ওখানেই নাকি রীতিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রোহিত।
যেটা মেনে নিতে দু’বার ভাবেননি রীতিকা এবং বাগদান।