ট্রফি হাতে প্রতিদ্বন্দ্বীকে খোঁচা রোনাল্ডোর

বার্সেলোনার কারও না আসার কারণটা বুঝতে পারছি

বছরের সেরা ফুটবলার হওয়ার ট্রফি হাতে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে খোঁচা মারার লোভ সামলাতে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কোথাও লিওনেল মেসির নাম করেননি, কিন্তু বুঝিয়ে দিয়েছেন বার্সা মহাতারকার না আসাটা তিনি কোন চোখে দেখছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৫২
Share:

হাত বাড়ালেই বর্ষসেরার ট্রফি। জুরিখে তৃপ্ত রোনাল্ডো।

বছরের সেরা ফুটবলার হওয়ার ট্রফি হাতে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে খোঁচা মারার লোভ সামলাতে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।

Advertisement

‘‘বার্সেলোনার কিছু লোক আসতে পারল না বলে খারাপ লাগছে। তবে কারণটা বোঝা যাচ্ছে,’’ সোমবার জুরিখে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জেতার পর সিআর সেভেনের মিসাইলের লক্ষ্য যে কে, তা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কোথাও লিওনেল মেসির নাম করেননি, কিন্তু বুঝিয়ে দিয়েছেন বার্সা মহাতারকার না আসাটা তিনি কোন চোখে দেখছেন।

বুধবার কোপা দেল রে-র ম্যাচ থাকায় বার্সেলোনা কোনও প্লেয়ারকে জুরিখে আসার অনুমতি দেয়নি। ট্র্যা়ডিশন অনুযায়ী তিন ফাইনালিস্টের, মানে রোনাল্ডো, মেসি আর আতোঁয়া গ্রিজম্যানের জুরিখের অনুষ্ঠানে থাকাটা বাধ্যতামূলক। ফরাসি স্ট্রাইকার ছিলেনও। কিন্তু মেসি না আসায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বলাবলি হতে থাকে, রোনাল্ডো সেরার পুরস্কার নিচ্ছে এটা চোখের সামনে দেখতে চাননি বলেই কোপা দেল রে ম্যাচের অজুহাতে অনুষ্ঠানটা এড়িয়ে গেলেন এলএম টেন।

Advertisement

মেসির সামনে ‘দ্য বেস্ট’ হওয়ার ছবিটা তিনি কতটা মিস করলেন সেটা অবশ্য বোঝা যায়নি সিআর সেভেনের তুরীয় মেজাজে। সমালোচকদের রোনাল্ডোর বোমা, ‘‘২০১৬ আমার কেরিয়ারের সেরা সময়। ট্রফিটা বুঝিয়ে দিল মানুষ অন্ধ নয়। খেলাটা দেখে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘ব্যক্তিগত দিক থেকে এই পুরস্কারটার মূল্য আমার কাছে বিরাট। অবিশ্বাস্য এই বছরটা আমি কখনও ভুলব না। আর কিছু বলতে চাই না, আমার ট্রফিগুলোই আমার হয়ে কথা বলবে। রিয়াল আর পর্তুগালের সতীর্থ, কোচ, আমার পরিবার, ভাইরা, মা, আমার স্টাফ— সবাইকে ধন্যবাদ। একশো শতাংশ উজাড় করে দিয়েছে সবাই আমার জন্য।’’

উজাড় করে দিয়েছেন ভোটাররাও। ৩৪.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন রোনাল্ডো। সেখানে মেসি ২৬.৪২ আর গ্রিজম্যান পেয়েছেন ৭.৫৩ শতাংশ ভোট।

ভোটের বিচার তো আছেই। গ্ল্যামারের বিচারেও সোমবার ফুটবল বিশ্বের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছেন সিআর সেভেন। এতদিন রোনাল্ডোকে নতুন বান্ধবী জিওর্জিনা রদ্রিগেজের সঙ্গে দেখা যাচ্ছিল বিভিন্ন ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে। জুরিখেই জুটি হিসেবে প্রথম প্রকাশ্যে রোনাল্ডো-জিওর্জিনা সামনে এলেন।

বাদ ছিল না গুরু স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসনের আশীর্বাদও। প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কোচ শিষ্যের সাফল্যে উচ্ছ্বাসটা কোনও দিনই চেপে রাখার চেষ্টা করেননি। জুলাইয়ে ইউরো জেতার পর রোনাল্ডোকে প্যারিসের মাঠেই জড়িয়ে ধরেছিলেন স্যর অ্যালেক্স। জুরিখে অতটা হল না। হাত মিলিয়ে অভিনন্দনের পালা সাড়া হল। তবে গুরুর চোখে প্রশংসার দ্যুতি ছিল স্পষ্ট। যেন বলতে চাইলেন, ‘সাবাশ, দ্য বেস্ট।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন