নজির: দু’শোতম ওয়ান ডে-তে সেঞ্চুরি করেও জেতা হল না কোহালির। ছবি: পিটিআই
কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চহালকে যে দারুণ ভাবে সামলালেন রস টেলর ও টম ল্যাথাম, তা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে স্বীকারই করে নিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। এ দিন ম্যাচের পরে বিরাট বলেন, ‘‘ওরা দু’জন যে জায়গায় বল ফেলে সাফল্য পেতে পারত, সেই জায়গাগুলোই ওরা ধরে ফেলে। এর কৃতিত্ব ওদের দিতেই হবে। বিশেষ করে টমকে। ওর ব্যাটিং উপভোগ করার মতো। বোল্টও দুর্দান্ত বোলিং করেছে।’’
দু’শোতম ম্যাচে সেঞ্চুরি নিয়ে বিরাট বলেন, ‘‘ইনিংসটা খুব তৃপ্তি দিয়েছে আমাকে। কারণ, ওই সময় চাপে পড়ে গিয়েছিলাম আমরা। এই উইকেটে বাউন্স ও টার্ন দুটোই ছিল। আরও ভাল ব্যাটিং করা উচিত ছিল আমাদের। তবে শিশিরের কথা ভেবে আরও ৩০-৪০ রান তুললে ভাল হত। ওরা যদি দু’শো রানের একটা পার্টনারশিপ তুলে দেয়, তা হলে তো কিছু করার থাকে না। তিনটে উইকেট ফেলে দেওয়ার পরেও ওরা আমাদের সামনে দেওয়াল তুলে দিয়েছিল।’’ বিরাটকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়ে সচিন তেন্ডুলকর লেখেন, ‘দু’শোতম ম্যাচে সেঞ্চুরিটা দারুণ প্রচেষ্টার ফল। স্পেশ্যাল ইনিংস খেললে।’
আরও পড়ুন: স্পিনারদের সামলে জিতল নিউজিল্যান্ড
ম্যাচের পরে টেলর বলেন, ‘‘কোহালির ইনিংসটা আমাদের ভীষণ চাপে ফেলে দেয়। কিন্তু ল্যাথাম আমাদের ইনিংসটা ধরে রেখে দেয়। ও যে ভাবে খেলছিল, তাতে আমার ওপর থেকে চাপ অনেকটাই কমে যায়।’’ আর ল্যাথাম বলছেন, ‘‘এই কন্ডিশনে ৫০ ওভার কিপিং করে এসে ফের এতক্ষণ ব্যাটিং করাটা বেশ কঠিন। দেশে একেবারে অন্যরকম আবহাওয়া। সে দিক থেকে ইনিংসটা খুবই ভাল। টেলরের সঙ্গে প্রায়ই কথা বলছিলাম আমি। এই ব্যাপারটা কাজে লেগেছে।’’ ওপেনার ল্যাথামের মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে আসা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দলের যা দরকার, তাই করতে হবে আমাকে। পাঁচ নম্বর জায়গাটা নিয়ে দলে সত্যিই সমস্যা আছে। আমাকে দিয়ে সেই সমস্যা মেটানো গেলে ভালই।’’
এ দিকে, আইসিসি ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের সঙ্গে তাঁর ও বিরাটের বৈঠকের সময় বদলের কথা শুনে চটে যান ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী। শনিবার প্র্যাকটিসে আসার পরে তাঁকে এই খবর জানানো হয়েছিল। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন শাস্ত্রী। তাঁর যুক্তি, এতে প্র্যাকটিসে ক্ষতি হত।