রুশ ফুটবল ডোপিং-এ অভিযুক্ত বলে ব্রিটিশ মিডিয়া রবিবার বোমা ফাটাল। প্রতীকী চিত্র।
ডোপিং-এর ভূত ছাড়ছেই না ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়াকে। অলিম্পিক্সে ডোপ কেলেঙ্কারির পর এ বার বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়েও সমস্যা বাড়ল লেভ ইয়াসিনের দেশের।
রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হতে বাকি আর এক বছর। ঠিক এই সময়েই রুশ ফুটবল ডোপিং-এ অভিযুক্ত বলে ব্রিটিশ মিডিয়া রবিবার বোমা ফাটাল। ফলে আরও একবার ডোপিং-বিতর্কের সামনে রুশ ক্রীড়ামহল।
ব্রিটিশ মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তিন বছর আগে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলে যে রুশ দল অংশ নিয়েছিল তাদের ২৩ জন অর্থ্যাৎ পুরো দলটাই ডোপিং-এর অভিযোগে ফিফার পরীক্ষাধীন। কড়া নজর রাখা হয়েছে তাঁদের উপর। শুধু এই ২৩ ফুটবলারই নয়, এর বাইরেও আরও ১১ রুশ ফুটবলারের উপর গোপনে নজর রেখেছে ফিফা। এই ৩৪ ফুটবলারের মধ্যে পাঁচ জন নাকি চলতি কনফেডারেশন্স কাপেও রয়েছেন রাশিয়ার জাতীয় দলে। এরা হলেন ইগর আকিনফিভ, ডেনিস গ্লুশাকভ, ম্যাক্সিম কানুন্নিকভ, আলেকজান্দার সেমেদভ এবং য়ুরি ঝিরকভ। দাবি, এদের সকলের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ রয়েছে ফিফার হাতে। অভিযোগ, রাশিয়ায় ক্ষমতাসীন সরকারের মদতেই এই ডোপ কেলেঙ্কারি। যদিও এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তরফে সরকারি ভাবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আরও জানা গিয়েছে, এই ৩৪ ফুটবলারের মধ্যে যাতে কারও মূত্রের নমুনায় নিষিদ্ধ রাসায়নিক না মেলে তার জন্যও পাল্টা প্রক্রিয়া জারি রেখেছিল রুশ প্রশাসন। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোতে দাবি করা হয়েছে, এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল রাশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ভিতালি মুতকো-র। কারণ বিশ্ব ডোপিং বিরোধী সংস্থা (ওয়াডা)-র রিপোর্টে নাকি মুতকোর নাম রয়েছে, ফুটবল মাঠে রাশিয়ার এই ডোপিং কেলেঙ্কারি চেপে দেওয়ার জন্য। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার এটাই যে, রাশিয়ায় ২০১৮ বিশ্বকাপ আনার জন্য ভিতালি ছিলেন অন্যতম সক্রিয় কর্তা। তার সঙ্গে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোর সম্পর্ক ভাল।
শনিবার রাতেই কাজানে কনফেডারেশন্স কাপে মেক্সিকোর কাছে ১-২ হেরেছে রাশিয়া। তার পরেই ব্রিটিশ মিডিয়ায় প্রকাশিত এই খবর রাশিয়ায় ঝড় তুলেছে। ব্রিটিশ মিডিয়া সঙ্গে এটাও দাবি করছে, ফিফা এই অভিযোগ সত্য বলে মেনে নিয়েছে। যার সওয়াল করতে গিয়ে তারা টেনে এনেছে বিশ্ব ডোপিং বিরোধী সংস্থা (ওয়াডা)-র প্রাক্তন প্রধান এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বর্তমান সদস্য ডিক পাউন্ডকে। এই দুঁদে আইনজীবীর কথায়, ‘‘রুশ ফুটবলারদের বিরুদ্ধে ডোপিং-এর অভিযোগ প্রমাণে এখনও তদন্ত চালাচ্ছে ফিফা। হয়তো রাশিয়া বিশ্বকাপের আগেই তদন্তের ফল জানাতে হবে তাদের। দেখার ব্যাপার এটাই যে, এ ক্ষেত্রে তদন্তে কী উঠে আসে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে ফুটবলকে ডোপমুক্ত করতে ফিফা কী সিদ্ধান্ত নেয়।’’