শাস্তি আটকাতে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক কিংবদন্তি ক্রিকেটারের

সরিতার জন্য দেশবাসীর সমর্থন চান সচিন

বহু আন্তর্জাতিক পদকজয়ী ভারতীয় মেয়ে বক্সার সরিতা দেবীর সম্ভাব্য চিরনির্বাসন আটকাতে দেশবাসীকে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানালেন সচিন তেন্ডুলকর। ভারতের আইকন ক্রিকেটারের যে আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া কতকটা অপ্রত্যাশিতই!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৮
Share:

সরিতা দেবী

বহু আন্তর্জাতিক পদকজয়ী ভারতীয় মেয়ে বক্সার সরিতা দেবীর সম্ভাব্য চিরনির্বাসন আটকাতে দেশবাসীকে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানালেন সচিন তেন্ডুলকর।

Advertisement

ভারতের আইকন ক্রিকেটারের যে আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া কতকটা অপ্রত্যাশিতই!

নিজের দীর্ঘ ক্রিকেটজীবনে যে কোনও বিতর্কের থেকে শত হস্ত দূরে থাকতে বরাবরের অভ্যস্ত কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান সম্ভবত এক বারই দু’হাজার আট অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সেই ‘মাঙ্কিগেট’ বিতর্কে সতীর্থ হরভজন সিংহের পাশে দাঁড়িয়ে তদন্ত কমিটিতে নিজের বক্তব্য জানিয়ে এসেছিলেন। দিন দুই আগেও মুদগল কমিটি রিপোর্টে শ্রীনিবাসন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্নে সচিন জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।

Advertisement

আবার অবসরোত্তর সচিন সদ্য প্রকাশিত নিজের আত্মজীবনীতে গ্রেগ চ্যাপেল-সহ নানা ইস্যুতে অনেক কড়া মন্তব্যও করেছেন। কিন্তু সরিতা ইস্যুতে এ দিন সচিনের রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে প্রতিক্রিয়া বোধহয় রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে তাঁর ক্ষেত্রে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া। গতকালই খবর ছিল, সম্প্রতি এশিয়াডে পদক নিতে অস্বীকার করে সরিতা আন্তর্জাতিক বক্সিং সংস্থার যে সম্ভাব্য আজীবন নির্বাসনের মুখে পড়তে চলেছেন, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক কী পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে জানতে বুধবার ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

সেই মতো এ দিন দিল্লিতে দুপুরে সচিন-সর্বানন্দ মিলিত হন। এবং দু’জনের বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়ে সচিন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “চাই গোটা দেশ সরিতার পাশে দাঁড়াক। সমস্ত দেশবাসী গোটা বিষয়টায় এই মহিলা বক্সারের পাশে থাকুন।” সঙ্গে সচিন আরও যোগ করেন, “সরিতার সতীর্থ ভারতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি সম্পূর্ণ বুঝতে পারছি, ওর মনের অবস্থাটা ওই সময় ঠিক কেমন ছিল। নিশ্চয়ই সেটা ওর কাছে কঠিন মুহূর্ত ছিল।”

ইনচিওন গেমসে সরিতা ৬০ কেজি বিভাগের সেমিফাইনালে স্থানীয় কোরিয়ান বক্সারের কাছে সামান্য পয়েন্টে হেরে গিয়ে ব্রোঞ্জ পান। কিন্তু অভিযোগ করেন, তাঁকে বিচারকরা ইচ্ছে করে কম পয়েন্ট দিয়ে হারিয়ে দিয়েছেন। পরে পদক মঞ্চে ব্রোঞ্জ পদক নিতে অস্বীকার করে কাঁদতে কাঁদতে সেটা চতুর্থ স্থানাধিকারীর গলায় নিজেই পরিয়ে দেন। যা নিয়ে তোলপাড় বিশ্ব বক্সিং মহলে। সরিতা আপাতত সাময়িক নির্বাসনে আছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির আরও বড় শাস্তি দেওয়ারই সম্ভাবনা।

যে প্রসঙ্গে সচিন এ দিন জানান, তিনি গত ১৫ নভেম্বর গোটা বিষয়টি জানতে চেয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। “কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠিতেও লিখেছিলাম, আমি উদ্বিগ্ন। দয়া করে দেখবেন, যেন সরিতার খেলোয়াড়জীবন শেষ না হয়ে যায়। এবং তার জন্য আমাদের সবার ওর পাশে যে ভাবে দাঁড়ানো দরকার সেটা যেন হয়,” বলেন সচিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন