ভারতীয় দলে ভারসাম্য চোখে পড়ছে সচিনের। ছবি: রয়টার্স।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে কুলদীপ যাদবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সচিন তেন্ডুলকর। কিংবদন্তি ক্রিকেটারের মতে, পাঁচ টেস্টের সিরিজে বিরাট কোহালির দলের সাফল্য নির্ভর করতেই পারে চায়নাম্যানের ওপর।
সোমবার সচিন বলেছেন, “বরাবরই মনে হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ফরম্যাটের জন্য ও তৈরি। ওর সামনে এখন মারাত্মক চ্যালেঞ্জ। তবে আমার মনে হয় ও প্রস্তুত।”এর আগে আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনও কুলদীপকে খেলানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতীয় দলকে।
২৩ বছর বয়সি চায়নাম্যান একদিনের সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলেছিলেন। প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচে তিনি নিয়েছিলেন নয় উইকেট। তার মধ্যে প্রথম একদিনের ম্যাচে ২৫ রানে নেন ছয় উইকেট। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তিনি নজর কেড়েছিলেন। তবে একদিনের সিরিজের শেষ ম্যাচে কুলদীপকে অনায়াসেই খেলেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। সেই ম্যাচে তিনি ৫৫ রান দেন, কিন্তু কোনও উইকেট পাননি।
এখনও পর্যন্ত কুলদীপ খেলেছেন দুটো টেস্ট। দুটোই উপমহাদেশে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে সুযোগ পেলে তা উপমহাদেশের বাইরে প্রথম টেস্ট হবে। স্কোয়াডে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার মতো স্পিনার রয়েছেন বলেই কুলদীপের খেলা নিশ্চিত নয়। কারণ, অশ্বিন ও জাদেজা, দুই জনেই আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সেরা পাঁচ বোলারের মধ্যে রয়েছেন। সচিন অবশ্য ভরসা রাখছেন। তিনি বলেছেন, “কুলদীপের মধ্যে যে সফল হওয়ার মশলা রয়েছে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।”
কুলদীপ চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত, বলেছেন সচিন। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
কিন্তু, টেস্ট সিরিজের পিচ কি স্পিনের পক্ষে সহায়ক থাকবে? সচিন বলেছেন, “কোন পিচে খেলা হবে, তা দেখতে হবে। এ বার ইংল্যান্ডে বেশ গরম পড়েছে। যদি আমাদের স্পিনাররা সাহায্য পায়, তবে আমরা সিরিজে দাপট দেখানোর জায়গায় থাকব।” ভারতীয় স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট মুম্বইকর। তাঁর কথায়, “আমাদের বোলাররা ব্যাট করতে পারে। আবার ব্যাটসম্যানরা প্রয়োজনে হাত ঘোরাতে পারে। ব্যাটিংয়ে উইকেটকিপারের অবদানও গুরুত্বপূর্ণ। আর আমাদের সেখানেও সমস্যা নেই।”
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ জয় শ্রীলঙ্কার
আরও পড়ুন: ইবিজা দ্বীপে একসঙ্গে মেসি আর নাদাল, কী করছেন জানেন?
ব্যাখ্যা করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৪ হাজার রান ও ১০০ শতরানের মালিক বলেছেন, “অশ্বিন-জাদেজা ব্যাট করতে পারে। হার্দিক পান্ড্যর মতো সিম-বোলিং অলরাউন্ডারও দলে রয়েছে। আগে অলরাউন্ডার না থাকায় আমরা পিছিয়ে পড়তাম। কাগজ-কলমে যা দেখছি, তাতে দলে দারুণ ভারসাম্য।”
ভারতীয় দল অবশ্য চোট-আঘাতের কারণে ভুগছে। নিয়মিত উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা, সিমার ভুবনেশ্বর কুমার, পেসার জসপ্রীত বুমরার চোট রয়েছে। সচিন অবশ্য অন্যভাবে ভাবছেন। তিনি বলেছেন, “টরন্টোয় একবার জাভাগল শ্রীনাথ, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, অনিল কুম্বলেকে পাইনি আমরা। এই তিনজনই তখন আমাদের প্রধান বোলার ছিল। এবং আমরা সেই সিরিজে পাকিস্তানকে ৪-১ হারিয়েছিলাম। কোনও ক্রিকেটারকে না পাওয়া গেলে তার মানে কিন্তু সিরিজ খুইয়ে বসা নয়। আমাদের দলে দারুণ কম্বিনেশন। তবে পুরো দল পাওয়া সব সময়েই স্বস্তির। অবশ্য চোট তো লাগবেই। পুরো স্কোয়াড না পাওয়াও খেলারই অঙ্গ।”
আরও পড়ুন: নাডা নিয়ে বোর্ড সেই লড়াইয়ের রাস্তাতেই