স্যর আচরেকরের শেষ যাত্রায় সচিন। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে। ছবি সংগৃহীত।
চলে গিয়েছেন তাঁদের প্রিয় স্যর। কিন্তু, জীবন তো আর থেমে থাকে না! চোখের জল আর ভারাক্রান্ত মন নিয়েই পালন করতে হয় যাবতীয় আচার। বৃহস্পতিবারের সকালটা তাই বোধহয় বিশ্ব ক্রিকেটের মাস্টার ব্লাস্টারের কাছে বড়ই নিষ্ঠুর হয়ে রইল। নাহ, শুধুই সচিন একা নন, বুধবার বিকেলে প্রয়াত অশীতিপর ক্রিকেট গুরু রমাকান্ত আচরেকরের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর বাড়িতে হাজির হওয়া অগণিত ছাত্রদের অনেককেই বৃহস্পতিবার দেখা গেল তাঁর শেষ যাত্রায়।
সবচেয়ে বিমর্ষ লাগছিল সচিনকে। দু চোখ ভরা জল। মুখটাও বড্ড বেশি থমথমে। এক ঝলক দেখেলে মনে হতেই পারে, সব হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে বসে থাকা একটা মানুষ! ভুগছিলেন রমাকান্ত বহুদিন ধরেই। শেষের সেদিন যে সমাগত তাঁর প্রিয় জনেরাও বুঝতে পারছিলেন। ক্রিকেটের প্রতি নিবেদিত প্রাণ মানুষটির নিথর, প্রাণহীন দেহের ছবি দেখে গোটা ভারতীয় ক্রিকেটমানসই শোকে পাথর।
বৃহস্পতিবার সকালে আচরেকরের বাড়ি থেকে মরদেহ নিয়ে বেরনোর সময় জায়গাটা ভিড়ে ভিড়। সত্যিই তিল ধারণের জায়গা নেই। প্রয়াত গুরুমশাইয়ের শবদেহ বহন করে নিয়ে এলেন সচিন নিজেই। পাশেই দেখা গেল তাঁর আরেক প্রাক্তন ছাত্র চন্দ্রকান্ত পন্ডিতকে। ফুলে ফুলে ঢাকা মরদেহ। আর মাথায় সেই পরিচিত টুপি। সারদাশ্রম বিদ্যালয়ে পার সময় শচীন যখন ব্যাট হাতে মারকাটারি শুরু করেছেন তখন থেকেই তো আচরেকর স্যরও গোটা দেশের মিডিয়ায় বন্দিত। সেই টুপিটাও ক্রিকেট ভক্তদের বড্ড চেনা।
আরও পড়ুন: সিরিজে পূজারার তৃতীয় সেঞ্চুরি, মায়াঙ্কের ৭৭, প্রথম দিনেই অ্যাডভান্টেজ ভারত
আরও পড়ুন: সিডনিতে কোহালি-পেনদের হাতে কালো আর্ম-ব্যান্ড কেন জানেন?
সচিন ছাড়াও তাঁর বাল্যবন্ধু বিনোদ কাম্বলিকেও দেখা গেল প্রয়াত আচরেকর স্যরের মরদেহের পাশে। এসেছিলেন আরও কত নামী-অনামী ক্রিকেট ছাত্ররা। গুরুর মরদেহ নিয়ে গাড়ি চলেছে। আর শিবাজী পার্কে রাস্তার দু ধারে প্রয়াত ক্রিকেট দ্রোণাচার্যের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ব্যাট তুলে দাঁড়িয়ে খুদে ক্রিকেট শিক্ষার্থীরা।
এই ছবিটাই থেকে যাবে। থেকে যাবে ক্রিকেটের আম-জনতার মনের মণিকোঠায়। খেলা ভাঙার খেলায় যোগ দিতে আসা বিষণ্ণ ক্রিকেট ছাত্রদের সম্বল বলতে আজ শুধুই চোখের জল আর তাঁর স্মৃতি।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল ,টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)