সচিনের মতে জৌলুস হারাচ্ছে টেস্ট। ছবি: পিটিআই
টেস্ট ক্রিকেট কি ক্রমশ তার জৌলুস হারাচ্ছে? পাঁচ দিনের এই ফর্ম্যাট কি ক্রমশ ঢাকা পড়ছে টি২০-র আধুনিক সংস্করণের কাছে? বহু দিন ধরে এই বিতর্ক চললেও একটি বিষয়ে মোটামুটি একমত ছিলেন সবাই। তা হল, পাঁচ দিনের ম্যাচে দর্শকের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। দর্শক টানতে শুরু হয়েছে দিন-রাতের টেস্ট। আরও কী ভাবে মাঠে দর্শক ফেরানো যায়, তা নিয়ে চলছে নিরন্তর আলোচনা। কিন্তু কেন মানুষ মুখ ফেরাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট থেকে? এত দিন এই বিষয়ে বিশেষ কিছু না বললেও এ বার মুখ খুললেন সচিন তেন্ডুলকর। বললেন, মাঠে ভয়ঙ্করতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলো মিস করছে বলেই মানুষ মুখ ফেরাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট থেকে।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে সচিন বলেন, “আমরা যখন বড় হয়েছি, দেখেছি সুনীল গাওস্করকে বল করছেন ইমরান খান। অনেক কিছুর সঙ্গে দেখেছি ভাল বলকে কী ভাবে ব্যাকফুটে ডিফেন্ড করে সম্মান জানাতে হয়। ভিভ রিচার্ডস-জেফ টমসন, কার্টলে অ্যামব্রোজ-স্টিভ ওয়, ব্রায়ান লারা-গ্লেন ম্যাকগ্রা-দের যুদ্ধ সারা দিন বসে দেখত দর্শক। আজ আর সেই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোথায়?”
ধারাবাহিক ভাবে কোনও দলই আজকের দিনে পারফর্ম করতে পারে না বলে মনে করেন মাস্টার ব্লাস্টার। সচিনের দাবি, “১৯৮০-র ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা ১৯৯০-এর অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বের বাকি সব দেশই হারাতে চাইত। এতটাই ধারাবাহিক ছিল তারা যে, তাদের হারানোটাই একটা বিষয় ছিল। অস্ট্রেলিয়ার ১১ জনের মধ্যে ন’জন ছিল বিশ্বমানের। বাকি দু’জন ছিল ভয়ঙ্কর। এদের মধ্যে ৩-৪ জন ভাল খেললেই ম্যাচ বেরিয়ে যেত। এই লড়াইগুলোই আজ আর নেই।”
টি২০ আসার পর দর্শকের চরিত্রগত পরিবর্তন হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাঁর মতে, “দ্রুত বদলে যাচ্ছে আধুনিক দর্শকের ক্রিকেট চরিত্র। এখনকার কিশোর টেস্ট দেখে বড় হয় না। তারা ব্যাকফুট ডিফেন্সের আগে ফ্রন্টফুট আর ইনসাইড আউট শেখে।”
তবে অবসরের পর আর সে ভাবে ক্রিকেটকে মিস করেন না বলেই জানিয়েছেন সচিন। দেশের হয়ে ২০০ টেস্ট খেলা ব্যাটসম্যানের দাবি, “মাঝেমধ্যে একটা প্রদর্শনীমূলক ম্যাচ খেলা যায়। এর বেশি কিছু না।”
আরও পড়ুন:
কেরিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বোলার হিসাবে এঁকে বেছে নিলেন রাহুল দ্রাবিড়