দু’দশক পরেও সচিনের মনে ইডেন প্রবাদ আর বেজি

ইডেন বললে তাঁর আজও মনে পড়ে ড্রেসিংরুমে নিজেদের মধ্যে পুরোনো জোকটার কথা। কলকাতায় খেলা পড়লে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে যা এক সময় বহুল প্রচারিত ছিল— দু’টো উইকেট শুধু বার কর, বাকি আটটা দর্শক তুলে নেবে! ইডেন বললে তাঁর আজও মনে পড়ে ছোট্ট বেজিটার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২১
Share:

শহরে সচিন। ছবি: উৎপল সরকার

ইডেন বললে তাঁর আজও মনে পড়ে ড্রেসিংরুমে নিজেদের মধ্যে পুরোনো জোকটার কথা। কলকাতায় খেলা পড়লে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে যা এক সময় বহুল প্রচারিত ছিল— দু’টো উইকেট শুধু বার কর, বাকি আটটা দর্শক তুলে নেবে!

Advertisement

ইডেন বললে তাঁর আজও মনে পড়ে ছোট্ট বেজিটার কথা। চব্বিশ বছর আগে হিরো কাপ সেমিফাইনালে যা ঘুরঘুর করছিল মাঠে, তাঁর অভিমতে ভারতীয় টিমের পক্ষে পয়মন্ত হিসেবে আবির্ভূত হয়ে। সেই হিরো কাপ সেমিফাইনাল, যেখানে শেষ ওভারে বল হাতে জিতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। নিজের কীর্তি মনে আছে, ভোলেননি ওই ছোট্ট বেজিটাকেও।

ইডেন বললে তাঁর আজও মনে পড়ে ক্লাইভ রাইসের মুখ, মুগ্ধ স্বরে বলে যাওয়া কথাগুলো। মনে পড়ে, নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য রাস্তার দু’ধারে লোকের দাঁড়িয়ে পড়া। বিদেশি টিম জেনেও আবেগের শহরের তাদের কাছে টেনে নেওয়া।

Advertisement

ইডেন বললে আজও অনেক কিছু মনে পড়ে সচিন তেন্ডুলকরের। হুবহু মনে পড়ে।

শনিবার শহরে এসেছিলেন কলকাতা ম্যারাথন উপলক্ষে। আজ, রবিবার সেই ম্যারাথন। তার ফ্ল্যাগ অফ করবেন সচিন। তার আগে কথা বলতে-বলতে ইডেন অভিজ্ঞতা যে কখন সচিনকে আচ্ছন্ন করে ফেলল, তা বোধহয় সচিন নিজেও খেয়াল করতে পারেননি।

শুরুতেই ‘নমস্কার কলকাতা’... ‘চলো সবাই, চলো দৌড়োই’...ভাঙা বাংলায় বলে আসর জমিয়ে দেন সচিন। পরে ম্যারাথন, ম্যারাথনকে ঘিরে ফিটনেসের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলতে-বলতে একবার বলেও ফেলেন যে, ‘‘এখনকার ভারতীয় টিমটাকে দেখে আমার সেরা ফিল্ডিং সাইড বলে মনে হয়।’’ তার গায়ে-গায়েই ইডেন প্রসঙ্গ। এবং অবশ্যই হিরো কাপ আর ওই ছোট্ট বেজিকে নিয়ে মজাদার গল্প।

‘‘জানি না কতজন খেয়াল করেছিলেন বেজিটাকে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে এসেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করছিল। আসামাত্র কয়েকটা উইকেট পড়ে। তার পর কিছুটা রান তুলল ওরা। এর পর আবার বেজি, আবার উইকেট! আমি তো অপেক্ষা করছিলাম, কখন আবার আসবে। পরে আর আসেনি, ম্যাচটাও খুব ক্লোজ হয়ে যায়। আমাকে শেষ ওভারটা বল করতে হয়,’’ হাসতে হাসতে বলে দেন সচিন।

যে ম্যাচে শেষ ওভারে জেতার জন্য ছ’রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু বোলার সচিন তা হতে দেননি। ‘‘আরে, কলকাতায় এলে আমরা তো মজা করে বলতাম যে দু’টো উইকেট শুধু তোলো। বাকি আটটা দর্শক তুলে দেবে।’’ সব দেখলে, শুনলে মনে হবে রবিবার সরকারি ভাবে কলকাতা ম্যারাথনের ফ্ল্যাগ-অফ সচিন করবেন শুধু। কিন্তু আসল কলকাতা ম্যারাথনে তো তাঁর নামা হয়ে গেল শনিবারই।

কলকাতা নামক আবেগের ম্যারাথনে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন