বিদায়ের রহস্য ফাঁস!
স্যাচিন.. স্যাচিন..
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে একটাই শব্দ। ২০০তম টেস্ট তাঁর। এবং সেটাই ছিল জীবনের শেষ টেস্ট। সেদিনই বাইশ গজের সঙ্গে তাঁর ২৪ বছরে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটিয়েছিলেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। সম্বর্ধনার শেষে চোখের জলে বিদায় দিয়েছিলেন বাইশ গজকে।
২০১৩-র নভেম্বরে ওয়াংখেড়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলে অবসর নিয়েছিলেন তেন্ডুলকর। কিন্তু এই অবসরের সিদ্ধান্ত কবে নিয়েছিলেন তিনি? এত দিন এটা নিয়ে ছিল শুধুই জল্পনা। কোনও দিনই মুখ খোলেননি মাস্টার ব্লাস্টার। এ বার তার উত্তর দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। লিঙ্কডইনে সম্প্রতি অভিষেক করেন সচিন। সেখানে ‘মাই সেকেন্ড ইনিংস’ নামে একটি পোস্টে শেয়ার করলেন তাঁর ক্রিকেট জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা। সেই সঙ্গে শেয়ার করলেন অবসর নেওয়ার পিছনের আসল কারণও।
চোখের জলে বিদায় সচিনের
ইনফ্লুয়েন্সার নামে তাঁর লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্টে সচিন লেখেন, “২০১৩ অক্টোবরে দিল্লিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ম্যাচ ছিল। প্রতিদিন সকালটা শুরু করি জিম দিয়ে। ২৪ বছর ধরে এই এক রুটিন মেনে আসছি। কিন্তু সেদিন সকালটা ছিল একটু অন্য রকম। তেমন কোনও তাড়া নেই।” তাঁর লেখায় আরও শেয়ার করেন, “সেদিন আমি অনুভব করলাম, নিজেকে জোর করে ঘুম থেকে তুলতে হচ্ছে। প্রতিদিনের জিমে যাওয়ার অভ্যাসেও অনীহা দেখা দিচ্ছে।”
আরও পড়ুন- কোহালি-ধোনিদের মাসিক বেতন কত জানেন!
সেদিন নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, “হঠাত্ এমন অনিচ্ছা কেন? কীসের লক্ষণ এটা? এ বার কি নিজেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত?”
সচিনকে গার্ড অব অনার টিম ইন্ডিয়ার
তাঁর লেখায় সুনীল গাওস্করের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সচিন, “সুনীল গাওস্কর, আমার একজন অন্যতম হিরো, বলেছিলেন, যে দিন মাঠে খেলার মাঝে বার বার হাত ঘড়ির দিকে নজর চলে যাচ্ছিল, সে দিনই বুঝেছিলাম, আর না। খেলা ছাড়ার সময় হয়েছে। সে দিন সকালে তাঁর ওই কথাটাই আমায় মনে পড়ছিল। জুতো জোড়া সেল্ফে তুলে রাখার সময় এসেছে।”
২০১৩-তে সচিনের হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০ টুর্নামেন্টে খেতাব জেতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এর পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারত সফরে এলে কলকাতাতে প্রথম টেস্টের পর ওয়াংখেড়েতেই শেষ বার শোনা যায় সেই অমোঘ ডাক— স্যাচিন.. স্যাচিন..