একফ্রেমে কাশ্যপের সঙ্গে সাইনা নেহওয়াল।
জল্পনা চলছিল কিছুদিন ধরেই। অবশেষে, সাইনা নেহওয়াল সিলমোহর দিলেন সেই জল্পনাতেই। জানিয়ে দিলেন, ১৬ ডিসেম্বরই পারুপল্লি কাশ্যপের সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন তিনি।
এক সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত রিপোর্টে সাইনা বলেছেন, “২০ ডিসেম্বর থেকে প্রিমিয়ার ব্যাডমিন্টন লিগ খেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ব। টোকিয়ো গেমসের যোগ্যতাঅর্জনের পর্বও রয়েছে। তাই আমাদের বিয়ের জন্য একমাত্র ওই তারিখই পড়ে রয়েছে।”
প্রায় এক দশক ধরে কাশ্যপের সঙ্গে সাইনার ডেটিংয়ের কথা শোনা গিয়েছে ব্যাডমিন্টন মহলে। কিন্তু, এর আগে কেউ এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। সাইনা বলেছেন, “আমরা ২০০৭-০৮ থেকে একসঙ্গে বড় সফরে যেতে শুরু করি। একসঙ্গে অনুশীলন করতাম, একসঙ্গে প্রতিযোগিতায় খেলতাম। আমরা যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জগতে বাস করি, তাতে কারও কাছে আসা খুব কঠিন। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, আমরা একে অন্যের সঙ্গে খুব স্বচ্ছন্দ হয়ে পড়ি। এই অনুভূতি ক্রমশ বাড়ে।”
আরও পড়ুন: ব্যাটসম্যান কোহালি নন, ব্যাট হাতে নেতা কোহালিই বেশি সফল
আরও পড়ুন: ভারতে আসছেন না ক্রিস গেল, টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন ব্র্যাভো-পোলার্ড
তবে বিয়ে করার ভাবনা এর আগে মাথায় আসেনি বলে জানিয়েছেন সাইনা। তাঁর কথায়, “আমাদের কেরিয়ারের স্বার্থে প্রতিযোগিতায় জেতা খুব জরুরি। তাই আগে-ভাগে বিয়ে করে ফোকাস অন্যদিকে সরাতে চাইনি। একজন খেলোয়াড়ের শিশুর মতো পরিচর্যার দরকার হয়। নিজের বাড়িতে না চাইতেই আমি সব পেয়ে যাই। কিন্তু, বিয়ে করলে পাল্টে যাবে পরিস্থিতি। কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমসের আগে তাই বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করতে চাইনি। কিন্তু, এখন বিয়ে করতেই পারি।”
পরিবারের লোকেরা দু’জনের সম্পর্কের কথা নিজেরাই বুঝে ফেলেছেন বলে দাবি সাইনার। তিনি বলেছেন, “আমার দরকারই পড়েনি এটা নিয়ে কথা বলার। অধিকাংশ সময়েই আমরা একসঙ্গে থাকতাম। আর আমাদের বাবা-মাও একসঙ্গে থাকতেন সফরে। তাই ওঁরা বুঝে গিয়েছেন যে আমি কার ঘনিষ্ঠ আর হেরে যাওয়ার পরও আমি কার সঙ্গে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি।”
(খেলার দুনিয়া নিয়ে বাংলায় খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের খেলা বিভাগে।)