Football

সঞ্জয়ের মুখে বাঙালি আবেগ, খালিদ নিলেন হারের দায়

ডার্বি মানেই আবেগের ম্যাচ, বাঙালির দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার দিন, কিন্তু অদ্ভুতভাবে এ দিনের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম দলে কোনও বাঙালি মুখই ছিল না।

Advertisement

কৌশিক চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:০৩
Share:

মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন। ছবি: সংগৃহীত।

রবিবাসরীয় যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিয়ে ডার্বি জিতে নিল মোহনবাগান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারালেও এ দিন আরও বেশি গোলে জিততে পারত মোহনবাগান। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সেই কথা মেনেও নেন সবুজ-মেরুন কোচ। সঞ্জয় বলেন, “তিন চার গোলে জেতা উচিত ছিল ম্যাচটা। দিপান্ডা ডিকা দু’টো সুযোগ মিস করেছে, ক্রোমাও একটা সহজ সুযোগ মিস করেছে।” তবে দলের খেলায় যে তিনি খুশি এবং লিগের শুরুতেই মশাল নিভিয়ে বেশ তৃপ্ত তা এ দিন সঞ্জয় সেনের চোখমুখ থেকেই স্পষ্ট।

Advertisement

ডার্বি মানেই আবেগের ম্যাচ, বাঙালির দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার দিন, কিন্তু অদ্ভুতভাবে এ দিনের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম দলে কোনও বাঙালি মুখই ছিল না। তুলনায় মোহনবাগানের দলে ছিলেন কিংশুক দেবনাথ, শিল্টন পাল, অরিজিৎ বাগুইদের মতো ময়দানের পরিচিত বঙ্গ তনয়রা। ছিলেন নরহরি শ্রেষ্ঠাও। যাকে দলের বাঙালি ফুটবলারই বললেন মোহন কোচ। পেশাদারিত্বের মধ্যেও ঐতিহ্যের ম্যাচে বাঙালি আবেগ যে একটা ফ্যাক্টর, সে কথা এ দিন মেনে নেন মোহন সারথী। সঞ্জয় বলেন, “এখনকার দিনে সব প্লেয়াররাই পেশাদার। কিন্তু এটা ঠিক ডার্বিতে বাঙালি প্লেয়ারদের মধ্যে আবেগটা কাজ করে।”

বড় ম্যাচে বাঙালি আবেগের কথা সঞ্জয় সেন মেনে নিলেও সেই আবেগ নিয়েই অন্য মেরুতে ইস্টবেঙ্গল কোচ। ম্যাচ শেষে খালিদ বলেন, “আমি ম্যাচ জেতার জন্য দল নামাই। যারা প্রথম দলে ফিট করেছে তাদেরকেই খেলিয়েছি।”

Advertisement

আরও পড়ুন: শিল্টনের সেভ, কিংসলের গোলে ডার্বি জয় মোহনবাগানের

আরও পড়ুন: ডার্বি শেষে হতাশ এডু, দলের খেলায় খুশি সনি

এ দিন দলের হারের সমস্ত ভার নিজের কাঁধে নিয়েই মাঠ ছাড়েন আইজলকে আই লিগ দেওয়া কোচ। খালিদের কথায়, “হারের জন্য দায়ী আমিই। দলটা এখনও সেট করেনি। মার্কিং-এর ক্ষেত্রেও গলদ ছিল। আশা করি পরের ম্যাচ থেকে দল ঘুরে দাঁড়াবে।” খালিদের সুরে সুর মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গলের খেলা নিয়ে কাটাছেড়া করে গেলেন বাগান কোচ। তাঁর কথায় এ দিন ম্যাচের অধিকাংশটাই গগনে গগনে খেলেছে ইস্টবেঙ্গল।

কাজে এল না নির্দেশ। ম্যাচ শেষে হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হল খালিদ জামিলকে।

দুই আই লিগ জয়ী কোচের লড়াইয়ের পাশাপাশি এ দিন আরও একটি লড়াই ছিল যুবভারতীতে—দুই জাপানি তারকার লড়াই। কাটসুমি ইউসা বনাম ইউটা কিনোয়াকির লড়াই। আর সেই লড়াইয়েও ইস্টবেঙ্গলকে ব্যাকফুটে ফেলল মোহনবাগান। সদ্য চোট সারিয়ে ওঠা ইউটা, এ দিন সবুজ-মেরুনের গোটা মাঝমাঠকে পরিচালনা করলেন। অন্য দিকে, মোহনবাগান ফেরত কাটসুমিকে গোটা ম্যাচেই চেনা ফর্মের ধারে কাছে পাওয়া গেল না। অবশ্য তার জন্য দায়ী লাল-হলুদ কোচ স্বয়ং। উইংয়ে না খেলিয়ে এ দিন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে কাটসুমিকে খেলান খালিদ। আর এতেই চেনা মেজাজে কাটসুমির উইং বরাবর দৌড়টাই হারিয়ে গেল ম্যাচের মধ্যে।

যদিও কাটসুমির সঙ্গে নিজের লড়াই চাইছেন না সদ্য কলকাতায় পারি জমানো ইউটা। স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে লাজং থেকে আসা মিডিও বলে যান, “লড়াইটা আমার আর কাটসুমির নয়। কাটসুমি ভাল প্লেয়ার। লড়াইটা ছিল দুই দলের।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন