Sports News

অটো চালিয়ে পেট চালান বুমরার দাদু

সন্তোখ সিংহ বুমরার বয়স এই মুহূর্তে ৮৪। মৃত্যুর আগে একবার নাতির সঙ্গে দেখা করতে চান এই বৃদ্ধ। নাতির সঙ্গে সম্পর্ক না থাকার পিছনে তাঁর মা-কেই দায়ী করছেন সন্তোখ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৭ ১৮:১৬
Share:

যশপ্রীত বুমরাহ। —ফাইল চিত্র।

টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখলে দেখতে পান নাতিকে। যখন যশপ্রীত বুমরাহ বল হাতে ভারতের জার্সিতে নামেন। সংবাদ মাধ্যমের ফ্লাশ বাল্বেরহ আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে প্রিয় নাতির মুখ। তখন খুশিতে মন ভরে যায়। কিন্তু এই প্রদীপের আলোর নিচেই জমাট বেঁধে রয়েছে গভীর অন্ধকার। কে জানত?

Advertisement

আরও খবর: ধোনির জায়গা নিতে চান হার্দিক!

সন্তোখ সিংহ বুমরা। যশপ্রীত বুমরার দাদু। থাকেন উত্তরাখণ্ডের কিচায়। ভাড়ার বাড়িতে অটো চালিয়ে চলে জীবন। এই খবর সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যে বুমরাহ কিছুদিন আগেই আইপিএল-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে ১ কোটি ২০ লাখের চুক্তি করেছিলেন। তাঁর দাদুর এই পরিস্থিতি কেন? ২৩ বছরের গুজরাত পেসারকে এই মুহূর্তের সেরা ‘ডেথ ওভার’ বোলার হিসেবেই ধরা হচ্ছে। সেই বুমরার ব্যাক্তিগত জীবন হঠাৎ করেই চলে এসেছে সবার সামনে। এবিপি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সন্তোখ সিংহ বলেন, ‘‘যশপ্রীত বুমরা আমার নাতি। আমি ওকে টিভিতে দেখি। খুব ভাল লাগে। আমি টেম্পো চালিয়ে নিজের জীবন চালিয়ে নেই।’’

Advertisement

যশপ্রীত বুমরাহ। ইনসেটে তাঁর দাদু সন্তোখ সিংহ বুমরাহ।

যা খবর সন্তোখ সিংহ বুমরা একজন সফল ব্যাবসায়ী ছিলেন। কিন্তু ব্যাবসায় বিরাট ক্ষতি হওয়ায় ২০০৬এ তিনি গুজরাত ছেড়ে চলে যান উত্তরাখণ্ডে। এই ব্যাবসায় ছিলেন যশপ্রীতের বাবা যশবীরও। ২০০১এ মৃত্যু হয় তাঁর। তার পরই ব্যাবসায় ক্ষতির সামনে পড়তে শুরু করে বুমরা পরিবার। সন্তোখ বলেন, ‘‘২০০১এ যশবীরের মৃত্যুর পর থেকেই ভাগ্যও মুখ ফিরিয়ে নেয়। সেই সময় ফ্যাক্টরি বন্ধ করে এখানে চলে আসি আমার ভাইয়ের সঙ্গে।’’

সন্তোখ সিংহ বুমরার বয়স এই মুহূর্তে ৮৪। মৃত্যুর আগে একবার নাতির সঙ্গে দেখা করতে চান এই বৃদ্ধ। নাতির সঙ্গে সম্পর্ক না থাকার পিছনে তাঁর মা-কেই দায়ী করছেন সন্তোখ। তিনি বলেন ‘‘যশপ্রীতের মা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চায় না। আমার মেয়ে সম্প্রতি আহমেদাবাদে গিয়েছিল। যশপ্রীতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করা হয় কিন্তু পারেনি। আমাকে যদি কেউ যোগাযোগ করিয়ে দেয় তা হলে কৃতজ্ঞ থাকব।’’ এখনও নাতির যোগাযোগ পাননি ৮৪ বছরের বৃদ্ধ। নাতির কাছে কি পৌঁছেছে এই খবর?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement