Bangladesh Unrest

বাংলাদেশে ছায়ানট ভবনে রাতভর ভাঙচুর, আগুন! পুড়ল বহু সরঞ্জাম, হারমোনিয়ামও আছড়ে ভাঙল উন্মত্ত জনতা

বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ ধানমন্ডিতে ছায়ানটের ভবনে হামলা চালানো হয়। সাততলা ভবনের প্রতি কক্ষে ঢুকে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ— যে যা পেরেছেন ভেঙেছেন। পরে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০৯
Share:

বাংলাদেশের ছায়ানট ভবনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, তাণ্ডব বিক্ষুব্ধদের। বৃহস্পতিবার রাতে। ছবি: এক্স।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের বাংলাদেশ উত্তাল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা ছড়িয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে একাধিক সংবাদপত্রের দফতরে। বিক্ষোভকারীদের আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি দেশের প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। রাতভর ছায়ানট ভবনে তাণ্ডব ও লুটপাট চলেছে। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আছড়ে ভাঙা হয়েছে হারমোনিয়াম।

Advertisement

ছায়ানট ভবনে ভাঙা হচ্ছে চেয়ার, টেবিল। ছবি: এক্স।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ ধানমন্ডিতে ছায়ানটের ভবনে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ— যে যা পেরেছেন ভেঙেছেন। লাঠি দিয়ে ভাঙা হয়েছে দরজা, জানলা। ছায়ানটের সাততলা ভবনের প্রতিটি ঘরে ঢুকে ঢুকে ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে অগ্নিসংযোগ করা হয় একাধিক জায়গায়। সমাজমাধ্যমে ছায়ানটের বিধ্বস্ত কক্ষগুলির ছবি এবং ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সন্‌জীদা খাতুনের ছবি ছিঁড়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ছেঁড়া হয়েছে লালনের ছবিও। দল বেঁধে সেখানে হামলা চালানো হয়েছে। আগুন নেবার পর কক্ষে পড়ে রয়েছে কালো ছাই। এই সমস্ত ছবি ও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

রাত ৩টে নাগাদ ছায়ানটের তরফে সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করা হয়, সংগঠনের কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে। ওই ভবনে যে সমস্ত সঙ্গীতচর্চার ক্লাস নেওয়া হত, আপাতত তা বন্ধ থাকবে।

Advertisement

ছায়ানট ভবনের কক্ষে পুড়ে যাওয়া সরঞ্জাম। ছবি: এক্স।

ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটিও বৃহস্পতিবার রাতে হামলার শিকার হয়েছে। এর আগে ওই বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছিল। অবশিষ্টাংশই ফের ভেঙেছেন বিক্ষোভকারীরা। একাধিক চ্যানেলে দেখা গিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর বাড়ির অবশিষ্ট দেওয়াল প্রবল আক্রোশে ভাঙা হচ্ছে।

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা হাদি গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে সরকারি উদ্যোগে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। হাদির মাথায় গুলি লেগেছিল। ছ’দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর বৃহস্পতিবার রাতে হার মানেন হাদি। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement