দেশের টেস্ট অধিনায়ক তাকে ২১ বলে ৪৫ অপরাজিত ডাগআউটে ফিরতে দেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে দু’হাত জোড় করে নমস্কার জানিয়েছিলেন। আইপিএলে দিন দুই আগের কথা। টুর্নামেন্টের সেই কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার, আরসিবির সতেরো বছরের সরফরাজ খান আইপিএলের মঞ্চকে দেখতে চাইছে আসন্ন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে নিজের অন্তর্ভুক্তির রানওয়ে হিসেবে। যেখান থেকে সে যুব বিশ্বকাপের উড়ানে যাবে। ‘‘সন্দীপ সিংহ, সঞ্জু স্যামসন, কুলদীপ সিংহেরা আইপিএলে ভাল খেলার সুবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জায়গা করে নিয়েছে। সেখানেও ভাল খেলেছে। আমারও সেটাই ইচ্ছে। একই লক্ষ্য। আইপিএলের প্ল্যাটফর্মকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে আমি ভারতীয় দলে ঢুকতে চাই,’’ বলেছে সরফরাজ।
ছয় বছর আগে সরফরাজ ৪২১ বলে ৪৩৯ রান করে স্কুল ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। এহেন প্রতিভা বলছে, ‘‘সামনেই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। ভারতের যুব দলের হয়ে সেটাও আমি খেলতে চাই। ধাপে ধাপে শৃঙ্গে ওঠাটাই ভাল বলে আমি মনে করি।’’ গেইল, ডে’ভিলিয়ার্স, কোহলির মতো সুপারস্টারদের সঙ্গে বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ড্রেসিংরুম ভাগ করতে কোনও চাপ অনুভব করছে কি না প্রশ্ন উঠলে সরফরাজের জবাব, ‘‘ডে’ভিলিয়ার্স তো আমার ফেভারিট ক্রিকেটার। আর যাঁদের নাম করলেন, তাঁরা ছাড়াও আমাদের টিমের কোচ ভেত্তোরি স্যর (ড্যানিয়েল ভেত্তোরি) আমাকে দারুণ সাহায্য করছেন। ওঁদের থেকে প্রচুর টিপস পাচ্ছি। সবাই আমাকে বলেছেন, বেশি না ভেবে নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিং করে যাও। বিশেষ করে ডে’ভিলিয়ার্স আমাকে একটু নার্ভাস দেখলেই ছুটে আসেন, আমাকে সাহস দেন। এই সব বিরাট ক্রিকেটাররা আমার কাছে আসছেন, আমার সঙ্গে কথা বলছেন— এগুলো ভাবলেই তো আমার রোমাঞ্চ হয়। ভাল খেলার জন্য এর চেয়ে ভাল মোটিভেশন আমার মতো এক জন তরুণের কাছে আর কী হতে পারে!’’