‘মনমরা সচিন তো কথাই বলল না’

সেলিব্রেশন মিটিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ আনন্দবাজারের সঙ্গে যখন কথা বললেন, তাঁর গলায় উচ্ছ্বাস...

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৫৮
Share:

ট্রফি হাতে। ছবি: আইএসএল।

....শুরুতেই ওরা (কেরল) যখন গোল দিল, তখন একটু দুশ্চিন্তা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পাশাপাশি এটাও মনে হয়েছিল যে, অনেক সময় আছে, ঠিক শোধ হয়ে যাবে। আমার বিশ্বাসটাই শেষ পর্যন্ত ওরা রাখল বলে আমি খুব খুশি। ম্যাচের আগে দলকে শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। আর কিছু বলিনি। এত ভাল একজন কোচ থাকতে এই কাজটা অন্য কাউকে করতে হবেই বা কেন?

Advertisement

সারাক্ষণ ধরে গ্যালারিতে বসে কী টেনশন! আর মাঠের অবস্থা দেখে সেই টেনশন যেন আরও বেড়ে গিয়েছিল। কত লোক রে বাবা! একটা ফুটবল ম্যাচ দেখতে আমাদের দেশে যে এত লোক আসতে পারে, ভাবাই যায় না। যেমন অ্যাটমোসফিয়ার, তেমনই টানটান ম্যাচ।

আমার মতো সচিনও দেখলাম সারাক্ষণ বেশ টেনশনে ছিল। এক বার তো নয়, দু-দু’বার ফাইনালে ওর টিমকে হারালাম আমরা। ম্যাচের আগে কথা হয়েছিল ওর সঙ্গে। কিন্তু ম্যাচের পর বেচারা এমন মনমরা হয়ে গিয়েছিল যে, আর আমার সঙ্গে ঠিক করে কথাই বলল না। সচিন এ রকমই। ইনট্রোভার্ট। তবে মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছিল মন খারাপ হয়ে গিয়েছে। হবেই। ঘরের মাঠে গ্যালারি ভর্তি সাপোর্টারদের সামনে হার। ওর জন্য বেশ খারাপ লাগছে। কী বলে সান্ত্বনা দেব, বুঝতে পারছিলাম না। ও নিজেও তো কিছু বলল না।

Advertisement

একটা ফাইনালের মতো ফাইনাল হল বটে। এত হিউমিডিটির মধ্যে ১২০ মিনিট টানা খেলা। তার পর আবার টাইব্রেকার। দেবজিতের কথা আলাদা করে কী বলব! ও তো সারা সিজনটাই ভাল খেলেছে। যে ভাবে বলটা পা দিয়ে সেভ করল! এই ক্ষমতা তো যে কোনও বড় গোলকিপারেরই থাকা উচিত। পুরো দল ভাল খেলেছে। তবে বোরহা ফার্নান্দেজের কথা আলাদা করে বলতেই হবে। ও আমাদের সঙ্গে সবক’টা সিজনেই ছিল। ফ্যান্টাস্টিক ফুটবলার।

সাক্ষাৎকার রাজীব ঘোষ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement