অদম্য: লড়াইয়ের ‘ময়দানে’। —নিজস্ব চিত্র
তার অদম্য জেদের কাছে হার মেনেছে বাবার স্বল্প রোজগার, পারিবারিক কষ্ট। তুফানগঞ্জে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাঁতার প্রতিযোগিতায় পর পর চারটি সোনা নিজের ঝুলিতে পুড়েছে সে। তাকে নিয়েই মেতেছে রাজ্যের খেলোয়াড় মহল। পুরো নাম সায়নী ঘোষ। বাড়ি হাওড়ার বালিতে। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি রামানুজ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সায়নীর লড়াই আমরা সবাই জানি। ওঁর সাফল্য আমাদের গর্বের বিষয়।”
সায়নীর বাবার বাড়ির কাছেই একটি ‘ফাস্ট ফুডের’ ছোট্ট দোকান চালান। মা গৃহবধূ। তার এক দাদা কলেজে পড়ে। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সায়নী জানায়, প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণের নানা খরচ রয়েছে। তাঁর কথায়, “কখনও ভেবেছিলাম সাঁতার ছেড়ে দেব। কিন্তু সবাই উৎসাহ জুগিয়েছেন।’’ বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারে দু’টি চারশো মিটার এবং দু’টি দুশো মিটারের ইভেন্টে সোনা জিতেছে সায়নী। সে জানায়, ২০০৯ সাল থেকেই জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ আদায় করে সে। ২০১০ সালে একটি পদক জিতে যাত্রা শুরু। ২০১৬ সালে দুশো মিটারে বেঙ্গালুরুতে জুনিয়র ন্যাশনালে দু’টি সোনা জিতে নেয় সে। ৪০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ডও করে। রাঁচিতে জাতীয় প্রতিযোগিতায় সোনা পায়। ২০১৭ সালে ভূপালে সিনিয়র ন্যাশনালে যোগ দিয়ে রৌপ্য পদক জেতে সে। হাঙ্গেরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগিতায় পঁয়ত্রিশ নম্বরে পৌঁছলেও জয়ের আশা ছাড়েনি সায়নী।