বীরু-গোতি। দেওধর ট্রফি থেকে নাম তুলে নিলেন দুই ওপেনার।
দেওধর ট্রফির দল থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার পর বীরেন্দ্র সহবাগ আর গৌতম গম্ভীরের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেল। জাতীয় দলের দুই বহুঅভিজ্ঞ ওপেনার উত্তরাঞ্চলের নির্বাচকদের জানিয়ে দেন, তাঁদের যেন বোর্ডের আঞ্চলিক একদিনের টুর্নামেন্টের দলে না রাখা হয়। তার পরেই বীরু-গোতির সিদ্ধান্তের নানা ব্যাখ্যা ক্রিকেটমহলে উড়তে শুরু করেছে।
কেন পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের মাত্র তিন মাস আগে অনুরূপ ফর্ম্যাটের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেন সহবাগ আর গম্ভীর? শোনা যাচ্ছে, উত্তরাঞ্চলের নির্বাচকদের প্রধান বিক্রম রাঠৌড় দল বাছাই বৈঠকে জানিয়েছেন, সহবাগ জুনিয়রদের জায়গা ছেড়ে দিতে চান। সে জন্যই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু গম্ভীর নাকি তাঁর না খেলার পিছনে কোনও স্পষ্ট কারণ দেখাননি বলে জানান এক নির্বাচক। ফলে ক্রিকেটমহলে প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বকাপের প্রাথমিক তিরিশের মধ্যেও তাঁদের থাকার সম্ভাবনা নেই আগাম বুঝেই কি এই সিদ্ধান্ত? পাশাপাশি, দুই সিনিয়র ওপেনারের এই সিদ্ধান্ত তাঁদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের প্রাথমিক ইঙ্গিত কি না সে রকমও ভাবছেন কেউ কেউ।
কেকেআর অধিনায়ক গম্ভীরের সঙ্গে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে দিল্লিতে যোগাযোগ করে জানা গেল, এ দিনই মুম্বইয়ের কাছে দিল্লি প্রায় অপদস্থ হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ায় হতাশ হয়েও দেওধরে সহবাগ-গম্ভীর না খেলার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও সেখানকার ক্রিকেটমহলের কেউ কেউ মনে করছেন। রাজকোটে এ দিন দিল্লিকে মাত্র ১৫৭-য় অল আউট করে মুম্বই অনায়াসে সেই রান তুলে নেয়। সহবাগ ৯ এবং গম্ভীর ২২ রানের বেশি পাননি। যদিও কয়েক দিন আগেই আঞ্চলিক পর্বে হরিয়ানার বিরুদ্ধে গম্ভীর ৯৩ এবং সহবাগ ৮০ রান করেছিলেন।
দেওধরে উত্তরাঞ্চলকে নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা আর এক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হরভজন সিংহ। যাঁর নেতৃত্বে পঞ্জাব বুধবার গুজরাতকে ২৯ রানে হারিয়ে বিজয় হাজারের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল। হরভজন প্রথমে ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৫১ করার পর বল করতে এসে দু’টি উইকেট নেন ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে।