মহেন্দ্র সিংহ ধোনি কখনও সামনাসামনি ভিভ রিচার্ডসের ব্যাটিং দেখেননি। কিন্তু তাতে খুব দুঃখ নেই ক্যাপ্টেন কুলের। তিনি তো বীরেন্দ্র সহবাগকে চোখের সামনে ব্যাট করতে দেখেছেন!
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনে হয়, তাঁর, সচিন তেন্ডুলকর-রাহুল দ্রাবিড়ের জীবন খুব সহজ হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেটের দিনগুলোয়। বীরেন্দ্র সহবাগ খুব সহজ করে দিয়েছিলেন!
মঙ্গলবার গোটা দেশ যখন নজফগড়ের নবাবের অবসর ঘোষণায় ডুবে, তখন দেশের শ্রেষ্ঠ দুই ক্রিকেট অধিনায়ক বীরুর জন্য সম্মান তর্পণ এ ভাবে সেরে রাখলেন।
সন্ধের দিকে এক টিভি চ্যানেলে প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ বলছিলেন যে, তিনি সহবাগের সিদ্ধান্তে অবাক নন। ‘‘অনেক দিন দেশের হয়ে খেলেনি। বসয়ও হচ্ছে। শুধু একটাই দুঃখ থাকবে যে, মাঠে ওর শেষটা হল না।’’ তাঁকে বলা হল বিদায়ী সাক্ষাৎকারে সহবাগ বলে গিয়েছেন যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলে তাঁর পক্ষে সম্ভব হত না আজকের বীরেন্দ্র সহবাগ হওয়া। শুনে সৌরভের উত্তর, ‘‘ও নিজেও তো গ্রেট ছিল। অ্যাবসোলিউট জিনিয়াস। আমাকে ও দেখিয়েছিল যে, ব্যাটিং অর্ডার বলে কিছু হয় না। আর ও রান পেলে আমার, সচিন, দ্রাবিড় সবার জীবন সহজ হয়ে যেত। কী অবিশ্বাস্য সব ইনিংস খেলেছে বীরু। টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছে এক দিনে। মুলতানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনশো করেছে। ওয়ান ডে-তে ডাবল সেঞ্চুরি। মাঝে মাঝে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে ওর ব্যাটিং দেখার সময় চোখ বন্ধ করে দিতাম।’’
টুইট-বার্তা
সৌরভ যেমন বিমুগ্ধ প্রিয় বীরুকে নিয়ে, ঠিক ততটাই সশ্রদ্ধ তাঁর উত্তরসুরি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। যিনি টুইট করেছেন, ‘আমি সামনাসামনি ভিভ রিচার্ডসকে ব্যাট করতে দেখিনি। তবে গর্ব করে বলতে পারি যে, আমি বীরেন্দ্র সহবাগকে দেখেছি যে একাই সেরা সব বোলিং আক্রমণকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারত।’ এখানেই না থেমে ধোনি আরও লিখেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে প্রতিভা থাকা এক ব্যাপার। কিন্তু বীরুপা’র মতো মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করা প্রায় অসম্ভব। আমরা বলি, পজিটিভ থাকো। সিঙ্গলস নাও। কিন্তু ও এমন একজন যে সব সময় বাউন্ডারি মারতে চাইবে। অনেকেই ওর মতো ব্যাট করতে চাইবে। কিন্তু আমার পরামর্শ হবে, নিজেদের মতোই থাকো।’ যা বলে ধোনি এটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, সহবাগকে দেখে সহবাগ হওয়া সম্ভব নয়। তার চেয়ে নিজের মতো থাকা ভাল। সৌরভ আবার চান, ওই বিখ্যাত মাইন্ডসেট এ বার তরুণদের শেখান সহবাগ। বলেও দিলেন, ‘‘ওকে অনুরোধ করছি সেটা। আর বেস্ট অব লাক বীরু। আমি ভাগ্যবান যে তোমার সঙ্গে খেলেছি, তোমাকে নেতৃত্ব দিয়েছি।’’