প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসন। -ফাইল চিত্র।
কোচ নির্বাচনী জটিলতার মধ্যেই নাটকীয় ভাবে থমকে গেল বিসিসিআইয়ের বিশেষ সাধারণ সভা। মঙ্গলবার ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার সদর দফতরে বিকেল ৪:৩০ সময় হওয়ার কথা ছিল এই বৈঠক। উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রতিটি রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের। কিন্তু কম সময়ের নোটিশে ডাকা এই বৈঠক ব্যর্থ হল বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার বিরোধিতায়।
এ দিন কার্যনির্বাহী বোর্ড প্রেসিডেন্ট সি কে খান্নাকে চিঠি লিখে এই বৈঠকের বিরোধিতা করা হয় গোয়া, সৌরাষ্ট্র, হরিয়ানা, কেরল, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসানের তরফ থেকে। চিঠির মূল বক্তব্য ছিল নিয়ম না মেনেই এই বৈঠক ডেকেছিল বিসিসিআই।
আরও পড়ুন: বিরাটদের কোচ কে, নাটক চলছেই
এই সব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলি বিরোধ করলেও, এর পিছনে ছিল প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসনের অদৃশ্য হাত। যে সকল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এই বৈঠকের বিরোধিতা করে তাদের প্রত্যেকেই শ্রীনি ঘনিষ্ট। শ্রীনির তামিলনাড়ু এই বৈঠকের বিরোধিতা করার পরই বিরোধিতা করে এই বোর্ডগুলি। সৌরাষ্ট্রে ক্রিকেটের প্রধান নিরঞ্জন শা ছিলেন শ্রীনি আমলে বোর্ডের অন্যতম শক্তিশালী কর্তা। অন্য দিকে, কেরলের টিসি ম্যাথু এবং হরিয়ানার অনিরুদ্ধ চৌধুরী শ্রীনির অনুগত বলেই দেশের ক্রিকেট মহলে পরিচিত।
তবে, কম সময়ের নোটিশে বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজন করা বিসিসিআইয়ের ইতিহাসে নতুন নয়। ২০০২ সালে তৎকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া দু’দিনের নোটিশে ডেকেছিলেন এই একই রকম বৈঠক।