রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে যে দিন কয়েকের মধ্যেই স্পিন-ডুয়েলে নামতে হবে, জানেন। ভারতের মাটিতে সেই যুদ্ধ যে কঠিন হতে চলেছে, তা-ও তাঁর অজানা থাকার কথা নয়। কিন্তু তিনি, সাকিব-আল-হাসান ও সব ডুয়েল-টুয়েল নিয়ে ভাবছেনই না। বরং ভাবছেন, টিমের প্রতি নিজ অবদান নিয়ে। ভাবছেন, টিমকে কী ভাবে আরও সাহায্য করা যায়।
‘‘চ্যালেঞ্জটা শুধু আমার নয়, সবার,’’ রবিবার বলে দিয়েছেন বাংলাদেশের এক নম্বর অলরাউন্ডার। ‘‘বলতে চাইছি, ধরুন আপনি আড়াইশো রান করলেন আর বোলাররা ভাল করল, তা হলে কিন্তু ওই আড়াইশোকেই প্রচুর দেখাবে। কিন্তু বোলাররা ভাল না করলে পাঁচশোকেও বিশাল দেখাবে না। তাই একটা টিম তখনই পারফর্ম করতে পারবে যখন প্রত্যেকে ভাল করবে। প্রত্যেকে অবদান রাখবে। কোনও একটা বিভাগের উপর নির্ভর করে একটা টিম চলতে পারে না। নিউজিল্যান্ডে কোনও দিন আমরা ভাল ব্যাট করেছিলাম। কোনও দিন আবার বল ভাল করেছিলাম। কিন্তু দু’টো একসঙ্গে ভাল হয়নি।’’
ঘটনা হল, ভারতীয় স্পিনের প্রধান ভরসা যে রকম অশ্বিন, বাংলাদেশের ঠিক তেমনই সাকিব। দু’জনের অ্যাপ্রোচটুকু বাদ দিলে, মিল প্রভূত দু’জনে। কিন্তু ওই যে, সাকিব আল হাসান তবু কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢুকবেন না। বরং অক্লেশে বলে দেবেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নেই। আমার তরফ থেকে নেই। মনে হয় না অশ্বিনের তরফ থেকেও আছে বলে। আসলে কেউ ও রকম ভাবে না। ও নিজের ক্ষেত্রে ভাল করার চেষ্টা করছে, আমি আমার দিকটায়। আমি যত ভাল করব, টিমের তত ভাল।।’’ এবং এখানে না থেমে আবার জুড়ে দেবেন, ‘‘অশ্বিন গত দু’তিন বছর ধরে অসাধারণ বল করছে। অশ্বিনের নিয়ন্ত্রণই বাকিদের চেয়ে ওকে আলাদা করে দিয়েছে। ওই কন্ট্রোল আর আত্মবিশ্বাসের কারণেই অশ্বিন এখন এক নম্বর।’’
অশ্বিন নিয়ে সাকিব সশ্রদ্ধ। মেহদি হাসান মিরাজ— তিনি আবার অশ্বিনের থেকে টিপস নিতে চান। দেশ ছাড়ার আগে মিরাজ বলেও দিয়েছেন যে, টেস্ট শেষে বসবেন অশ্বিনের সঙ্গে। টিপস নেবেন। ভাল করে দেখবেন, ম্যাচে অশ্বিন কী ভাবে বল করেন, না করেন। এবং মেহেদির মনে হচ্ছে, এতে তাঁর উপকারই হবে।
যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে ভারতের সেরা স্পিন-অস্ত্রকে সম্মুখসমরের খোলাখুলি আহ্বান নয়, আসন্ন যুদ্ধে তাঁর প্রতি সম্মানের রেড কার্পেটই পেতে দিচ্ছে পদ্মাপারের এগারো।