অর্ধশতরানের পর ইডেনে সাকিব। ছবি: পিটিআই।
কেকেআরের দুর্গ সামলালেন বাংলার তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ইডেনে ম্যাচ হলেও রবিবাসরীয় মহারণের প্রথম দিকে হোম অ্যাডভান্টেজ তুলতে ব্যর্থ শাহরুখের নাইটারা। ম্যাচের শুরুতেই চার উইকেট হারিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছিল লিগ টেবলে শীর্ষে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্স। পাঁচ নম্বরে নেমে যেন টিমের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন সাকিব আল হাসান। গত কালের আগে টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে ছিল মাত্ ২০ রানের পুঁজি। কিন্তু, এ দিন মাঠে নামতেই যেন পুরনো ফর্মের সাকিব গায়েব। ইডেনের দর্শকেরা খুঁজে পেলেন নয়া চেহারার সাকিবকে। ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাঠে নোঙর ফেলেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে তুললেন দু’জনের ব্যাট থেকে এল ১৩৪ রানের পার্টনারশিপ। যা ম্যাচের রং বদলে দেয়। শুধু কি তাই, এ যাবৎ কালের আইপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ গড়লেন সাকিব-পাঠান জুটি।
৫.৫ ওভারের পর মাঠে নেমেছিলেন সাকিব। ফর্মের তুঙ্গে না থেকেও শুধুমাত্র মাটি কামড়ে পড়ে থাকার সাকিবের লড়াকু মানসিকতার ফলেই শেষ পর্যন্ত বড় রানের ইনিংস গড়ে কেকেআর। ৪টি করে চার আর ছয় দিয়ে সাজানো ছিল সাকিবের ৪৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। এর সঙ্গে অবশ্যই যোগ করতে হবে ইউসুফ পাঠানের খুনে মেজাজের ব্যাটিং। ৪১ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেও সাকিবের মতো তিনিও কেকেআরকে বড় রানে ফেরান।
তবে সাকিবের ধৈর্যশীল ইনিংসের পরও গুজরাত লায়ন্সের ব্যাটসম্যানদের আটকাতে পারেননি কেকেআর বোলাররা। ১২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেন তাঁরা।
তবে কেকেআর হারলেও গত কাল ইডেনে দর্শকমন জয় করলেন সাকিব। শুরু থেকেই ধরে খেলছিলেন তিনি। তবে প্রথম দিকে চার-ছয় না মারলেও সিঙ্গলস নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন। পরে অবশ্য সে খামতি সুদে-আসলে মিটিয়ে দেন তিনি। বিশেষ করে ডোয়েন ব্রাভোর বলে ষোলোতম ওভারে স্টেপআউট করে সাকিবের ছয়ের স্মৃতি মনে থাকবে ইডেনের। ব্রাভোর পরের ওভারের প্রথম দুই বলে ফের একই রকম সংহার মূর্তি ধারণ করেন সাকিব। কেকেআর হারলেও তাই চলতি আইপিএলে সাকিবের প্রথম অর্ধশতরান কিন্তু আরও বড় ঝড়ের ইঙ্গিত হয়ে রইল।
আরও পড়ুন