লোঢা-আইনের ধাক্কায় প্রথম ইন্দ্রপতন মুম্বইয়ে

লোঢা কমিশন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়ের পরে দিন পাঁচেক কেটেছে। এবং তার মধ্যেই একের পর এক সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে নানা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায়। কোথাও ক্রিকেট প্রশাসনের সত্তরোর্ধ্ব হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিচ্ছেন, আর নয়। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে অতি দ্রুত তিনি সরে যাবেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৪:০৩
Share:

বিদায় ঘোষণা করে পওয়ার। রবিবার মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই

লোঢা কমিশন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়ের পরে দিন পাঁচেক কেটেছে। এবং তার মধ্যেই একের পর এক সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে নানা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায়।

Advertisement

কোথাও ক্রিকেট প্রশাসনের সত্তরোর্ধ্ব হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিচ্ছেন, আর নয়। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে অতি দ্রুত তিনি সরে যাবেন। কোনও সংস্থায় নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। কোথাও আবার নির্বাচন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে সোজাসুজি।

মুম্বই। কলকাতা। ঝাড়খণ্ড। কর্নাটক। জম্মু-কাশ্মীর। ডিডিসিএ। সব জায়গায় এখন আদালত নির্দেশিত সংস্কারের ছবি।

Advertisement

ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের প্রথম ইন্দ্রপতনের খবর সরকারি ভাবে এ দিন ঘোষণা হয়ে গেল মুম্বইয়ে। এমসিএ সুপ্রিমো শরদ পওয়ার যখন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নিজের অবসর ঘোষণা করে দিলেন। পওয়ার বলে দেন, ‘‘আদালত যা বলেছে, আমি তাকে সম্মান করি। আমি বোর্ড এবং এমসিএ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ক্রিকেটে প্রচুর উন্নতি হয়েছে। তাই আনন্দের সঙ্গেই আমি ক্রিকেট প্রশাসন থেকে অবসর নিচ্ছি। কোনও আক্ষেপ না রেখে।’’ মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ছ’মাসের মধ্যে তারা নিজেদের গঠনতন্ত্রের খোলনলচে পাল্টে ফেলবে রায় অনুযায়ী। যার প্রথম ধাপ— পওয়ারের অবসর। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা ছিল সত্তরোর্ধ্ব কেউ কোনও ক্রিকেট সংস্থার পদাধিকারী হতে পারবে না। পওয়ার সেখানে পঁচাত্তর। পওয়ার যা নিয়ে বলেছেন, ‘‘কর্তাদের বয়সের উর্ধ্বসীমা নিয়ে যে রায় দিয়েছে আদালত, তা মানছি। নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই রায় দিয়েছে আদালত।’’

পওয়ার বাদে আর কোনও হেভিওয়েট ক্রিকেট কর্তার প্রশাসন থেকে বিদায় নিয়ে এখনও সরকারি ঘোষণা হয়নি। কিন্তু জল্পনা চলছে, হবে। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা শোনা গেল, সবচেয়ে ডামাডোলে আক্রান্ত। সংস্থার প্রেসিডেন্ট এসপি বনশল, দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট সি কে খন্না এবং চেতন চৌহানকে নাকি চলে যেতে হচ্ছে। বনশল-খন্নার ইতিমধ্যে প্রশাসনে ন’বছর হয়ে গিয়েছে। চৌহান এখন উনসত্তর। কিন্তু তার চেয়েও বড় হল, আদালতের রায়ের পর ডিডিসিএ-র নির্বাচন পদ্ধতি পাল্টে ফেলতে হবে। এত দিন সংস্থা কোম্পানি আইনের আওতায় চলত। নির্বাচনে যথেচ্ছ প্রক্সি ভোটিং চলত। এ বার থেকে সে সব বন্ধ। তবে কোনও কোনও কর্তা নাকি আবার নিজেদের রাস্তা বন্ধ দেখে নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের পদে আনার কথা ভাবছেন!

ঝাড়খণ্ড, জম্মু-কাশ্মীরে আবার নির্বাচনই বাতিল হয়ে গিয়েছে। দুই সংস্থাতেই রায় বেরোনোর আগে নির্বাচন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দু’টোই এখন বাতিল। জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যের এক মন্ত্রী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে এসেছিলেন আর ঝাড়খণ্ড সংস্থার প্রেসিডেন্ট অমিতাভ চৌধুরী বোর্ড পদাধিকারী। দু’টো ভিন্ন পদে এমনিই থাকতে পারবেন না। কর্নাটক আর সিএবি— দুই সংস্থায় আবার পিছিয়ে দিতে হচ্ছে নির্বাচন। সিএবি-র সোমবারই এমার্জেন্ট ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে সদস্যদের তা জানিয়েও দেওয়ার কথা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন