অবনমন হয়ে গেল লাজং এফসি-র। পাহাড়ি ডার্বিতে সোমবার আইজল এফ সি ৪-১ গোলে হারাল শিলংকে। নির্ধারিত সময়ে ৪-০ পিছিয়ে থাকার সংযুক্ত সময়ে ব্যবধান কমান দোনদবোকালাং লিংডো। আইজলের আনসুমানা ক্রোমা জোড়া গোল করলেন। অন্য দুটি গোল করেন লালপাখামেলুইয়া এবং ইসাক ভেনলালুমফেলা। খরচ কমাতে এ বার বিদেশিবিহীন দল গড়েছিল শিলং। তাদের ভূমিপুত্ররা পারলেন না। ফলে ৮ মার্চ লাজং বনাম মোহনবাগান ম্যাচের কোনও গুরুত্ব থাকল না।
কিন্তু লাজংয়ের নেমে যাওয়ার সঙ্গে কাঁপুনি শুরু হয়ে যেতে পারে খেতাবের লড়াইতে থাকা দু’টি দলের। ৯ মার্চের চেন্নাই সিটি এফ সি এবং ইস্টবেঙ্গলের লড়াই আরও কঠিন হয়ে গেল। কারণ তাদের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে মিনার্ভা পঞ্জাব এবং গোকুলমের উপর থেকে অবনমনের চাপ সরে গেল। অনেক খোলা মনে খেলতে পারবে দুটি দল।
আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলের খেলা কোঝিকোড়ে গোকুলমের বিরুদ্ধে। যারা রবিবার নেরোকার এফ সির মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে। ফলে অকুতোভয় হয়ে শেষ ম্যাচে খেলবে বিনু জোসের দল।
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভা এফসি। চেন্নাইয়ের হয়ে শেষ ম্যাচে থাকবেন না স্প্যানিশ আর্মাডার অন্যতম ভরসা নেস্তর গর্দিয়ো। নেস্তর চেন্নাইয়ের মাঝমাঠে খেলাটা তৈরি করেন। তবে সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইতে থাকা পেদ্রো মানজ়ি থাকছেন। উইলিস প্লাজাকে (২০) টপকে সেরা হওয়ার লড়াই তাঁর। চেন্নাইকে চ্যাম্পিয়ন হিসাবে আগাম অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করায় হঠাৎই বিতর্ক তৈরি হয়েছে মিনার্ভা মালিক রঞ্জিৎ বাজাজকে নিয়ে। চার্চিল ব্রাদার্স বনাম চেন্নাই ম্যাচের আগের এই টুইট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। রঞ্জিৎ অবশ্য এ দিন পঞ্চকুল্লা থেকে ফোনে বললেন, ‘‘আমরা পুরো শক্তির দলই নামাব। চেন্নাইকে লড়ে জিততে হবে। এএফসি কাপের ম্যাচ এবং সুপার কাপের কথা ভেবে কয়েকজনকে বিশ্রাম দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন ঠিক করেছি চেন্নাই ম্যাচের পরে বিশ্রাম দেব।’’ যোগ করেন, ‘‘ঘরের মাঠে পেনাল্টি নষ্ট করায় পুরো পয়েন্ট পাইনি। গড়াপেটার কোনও প্রশ্নই নেই।’’
দুটি ম্যাচেই পরিদর্শক থাকবেন। দুটি ম্যাচই শুরু বিকেল পাঁচটায়। ম্যাচ সম্প্রচারের জন্য স্পনসর টিভি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন। শোনা যাচ্ছে, একটি ম্যাচ টিভিতে দেখানো হবে, অন্যটি হটস্টারে।