লন্ডন অলিম্পিকের ব্রোঞ্জজয়ী মেরিকম পারেননি। ভারতের অন্য কোনও বক্সারই যা পারেননি, সেটাই করে দেখিয়েছেন আসামের মাত্র ২২ বছরের ছেলে শিবা থাপা।
তিনিই ভারতের একমাত্র বক্সার যিনি রিও অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। গত সপ্তাহে চিনের কিয়াননে এশিয়া-ওসেনিয়া জোনের অলিম্পিক কোয়ালিফায়ার চ্যাম্পিয়নশিপে বতর্মানে বিশ্বের ছয় নম্বরে থাকা শিবা থাপা ব্যান্টমওয়েট বিভাগে তিনি কাজাকস্তানের কাইরত ইয়েরালিভকে হারিয়ে এই বিভাগের ফাইনালে ওঠেন। আর ফাইনালে হেরে রুপো জিতে দেশে ফিরেছেন। রুপো জেতার দৌলতে তিনি ভারতের একমাত্র বক্সার, যিনি রিওর ছাড়পত্র জোগাড় করতে পেরেছেন। ভারতের বাকি সব বক্সার হেরে দেশে ফিরেছেন।
ফেডারেশনের কাছ থেকে কোনও রকম সাহায্য পাননি শিবা। কারণ বতর্মানে বক্সিং ফেডারেশনকে সাসপেন্ড করেছে আন্তর্জাতিক বক্সিং সংস্থা। সেই কারণেই অ্যামেচার বক্সিং ছেড়ে প্রো-বক্সিয়ে ঢুকে পড়েছেন। তাই পুরোপুরি নিজের চেষ্টায় শিবা থাপা নিজেকে প্রস্তুত করেছেন অলিম্পিকের জন্য। এর আগে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে মাত্র আঠার বছর বয়েসে প্রথম অলিম্পিকে গিয়েছিলেন শিবা। গতবার পদক না জিতলেও এ বার রিওতে ভারতের একমাত্র বক্সার হলেও আনন্দবাজারকে আজ বলে দিলেন ‘‘রিওতে ভারতকে একটি পদক জেতার জন্য আমি নিজেকে নিংড়ে দেব। অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করার জন্য সারা বছরটা আমি যে ভাবে খেটেছি, তা আপনাকে বলে বোঝাতে পারব না। তাই আমি খুব ক্লান্ত।এখন তাই কয়েক দিন পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে আবার রিও অলিম্পিকের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ব।’’
আরও পড়ুন- গেইলদের মতো নাচলেও দিনের শেষে জয় অধরা
দিল্লির কনট প্লেসে বাজার করার ফাঁকে এই প্রতিবেদককে শিবা থাপা বললেন ‘‘জীবনে কিছু পেতে গেলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। ফেডারেশন এখন অকোজো। তাই ভারতের বক্সাররা ভারতের ঝান্ডা নয় আইবার পতাকা নিয়ে বক্সিুংয়ের রিংয়ে নামছেন। তাই নিজের উপর প্রচুর লোড নিয়ে আমাকে তৈরি হতে হয়েছে অলিম্পিক কোয়লিফায়ার হওয়ার জন্য। তাই অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করার জন্য নিজের সব শক্তি উজাড় করে দিয়েছি। রিওর আগে আবার নিজেকে নতুন করে তৈরি করতে হবে। হাতে বেশি সময় নেই। মাত্র তিন মাসে নিজেকে সেরা ফর্মে নিয়ে যেতে হবে আরও এক বার।’’
শিবা এও বললেন, ‘‘রিওর প্রস্তুতিতে আমি বিদেশে গিয়ে প্রস্তুতি নিতে চাই। তবে এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি কোথায় যাব। বাড়িতে কয়েক দিন বিশ্রামের পর ঠিক করব কোথায় যাব।’’
চিনে শুধু শিবা অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করলেও ভারতের অন্য বক্সাররা তাদের শেষ সুযোগ পাবেন জুনে। শিব থাপার আশা সেখান থেকে ভারতের অরও কয়েক জন বক্সার রিওর ছাড়পত্র পেতে পারেন। তার আগে পর্যন্ত তিনিই ভারতের ‘সবেধন নীলমণি’!