বোর্ডে চেয়ার পেয়েও জমি হারাচ্ছেন শিবলাল

অম্বাতি রায়ডুর সাফল্যে জ্বলছেন? না নিজের শহরের ক্রিকেট প্রশাসনে তাঁর জনপ্রিয়তার অভাবই তাঁকে বাধা দিল? নিজের শহরে থেকেও ভারতীয় দলের সিরিজ জয় দেখতে এলেন না বোর্ডের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট শিবলাল যাদব। তেলেঙ্গানা হয়ে ওঠার পর এই প্রথম হায়দরাবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। মাঠে এসে ক্রিকেটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখরও। কিন্তু পাত্তা নেই নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের ‘প্রক্সি’ শিবলালের। সারা দিন ধরে ফোন বন্ধ। জানা গেল, শহরে থেকেও স্টেডিয়ামমুখো হননি তিনি।

Advertisement

রাজীব ঘোষ

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০২:০৬
Share:

অম্বাতি রায়ডুর সাফল্যে জ্বলছেন? না নিজের শহরের ক্রিকেট প্রশাসনে তাঁর জনপ্রিয়তার অভাবই তাঁকে বাধা দিল? নিজের শহরে থেকেও ভারতীয় দলের সিরিজ জয় দেখতে এলেন না বোর্ডের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট শিবলাল যাদব।

Advertisement

তেলেঙ্গানা হয়ে ওঠার পর এই প্রথম হায়দরাবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। মাঠে এসে ক্রিকেটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখরও। কিন্তু পাত্তা নেই নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের ‘প্রক্সি’ শিবলালের। সারা দিন ধরে ফোন বন্ধ। জানা গেল, শহরে থেকেও স্টেডিয়ামমুখো হননি তিনি।

হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদেরও এই নিয়ে হেলদোল নেই। তাঁদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্টেডিয়ামে এলেন কি না, তা নিয়ে কারও মাথাব্যথাই নেই যেন। বরং শিবলালের খোঁজ নেওয়ায় আরশাদ আয়ুবের সাঙ্গপাঙ্গরা বেশ বিরক্তই হলেন।

Advertisement

বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেল তাঁর নিজের রাজ্যে যেমন ব্রাত্য এবং বিতাড়িত, তেমনই শ্রীনিবাসনের বোর্ডের তথাকথিত সর্বোচ্চ কর্তারও একই হাল।

কিন্তু কেন এলেন না শিবলাল? খোঁজখবর নিয়ে দুটো কারণ পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, তাঁর ছেলে অর্জুন যাদবের সঙ্গে রায়ডুর সম্পর্কের তিক্ততা। অভিযোগ, শিবলাল নাকি ছেলেকে রাজ্য দলে ঢোকানোর জন্য রায়ডুর উপর নানা অন্যায় করেছিলেন। যার জেরে রায়ডুকে হায়দরাবাদ ছেড়ে অন্ধ্রের হয়ে খেলতে হয়। এমনকী, রায়ডুর আইসিএলে যোগ দেওয়ার কারণও না কি শিবলালের অবহেলা।

অর্জুন-রায়ডুর সম্পর্কের তিক্ততা এক সময় বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। ২০০৫-এর ডিসেম্বরে অনন্তপুরে অন্ধ্র-হায়দরাবাদ রঞ্জি ম্যাচে রায়ডুর দিকে স্টাম্প নিয়ে তেড়ে যেতেও দ্বিধা করেননি অর্জুন। সেই রায়ডু আজ ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য এবং অর্জুন ক্রিকেটার হিসেবে বেশিদূর যেতে না পেরে কোচিংয়ে ঢুকে পড়েছেন। বাবা না এলেও তিনি এ দিন এসেছিলেন।

হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তার দাবি, “শিবলালজি মাঝে মাঝে নিঃশব্দে সন্ধ্যার দিকে এসে নিজের অফিসে খানিকক্ষণ বসে চলে যান। এই ম্যাচে তাঁর না আসাটাই তো স্বাভাবিক।” সেপ্টেম্বরে আরশাদ আয়ুব এইচসিএ-র প্রেসিডেন্ট পদে আসার পর থেকে শিবলাল যাদবের জনপ্রিয়তা এতটাই তলানিতে এসে ঠেকে যে, তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েও দেন যে সংস্থার কোনও পদ পাওয়ার জন্য আর চেষ্টা করবেন না। তখন অজুহাত দেখিয়েছিলেন, “বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদের চেয়ে বড় আর কী হতে পারে?”

দেখা যাচ্ছে, সেই ‘বড়’ পদ পেয়েও শিবলাল যাদবের ভাগ্য ঘোরেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন