বিশ্বকাপে চার নম্বর জায়গায় খেলার ক্ষমতা ধরেন, ঘোষণা শ্রেয়সের। ছবি সংগৃহীত।
জাতীয় দলে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়নি! জাতীয় নির্বাচকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন শ্রেয়স আয়ার। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক সাফ বলেছেন যে তাঁকে অবহেলাই করা হয়েছে।
একদিনের ক্রিকেটে জাতীয় দলের হয়ে ছয় ইনিংসে ৯, ৮৮, ৬৫, ১৮ ও ৩০ রান রয়েছে শ্রেয়সের। গড় ৪০ এরও বেশি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পোর্ট এলিজাবেথে করা ৩০ রানই দেশের হয়ে তাঁর শেষ ইনিংস। তার পরই নির্বাচকদের নজর থেকে হারিয়ে যান মুম্বইকর। এক বছরও হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার জার্সি আর গায়ে চাপাননি শ্রেয়স। আর এই কারণেই নির্বাচকদের প্রতি অভিমান জন্মেছে তাঁর। সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজেকে প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ তিনি পাননি, বলছেনও সোজাসুজি।
গত বছরে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে দেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ক্রিকেটারের অন্যতম ছিলেন। সদ্য সমাপ্ত মুস্তাক আলি ট্রফিতেও ৬০.৫ গড়ে ৪৮৪ রান করেন শ্রেয়স। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫২.৫০। সিকিমের বিরুদ্ধে ৫৫ বলে তাঁর ১৪৭ আবার এই ফরম্যাটে কোনও ভারতীয়ের সর্বাধিক। কিন্তু এই ধারাবাহিকতার পরও ভারতের মিডল অর্ডারে শ্রেয়সকে দেখে নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে ধোনিকে দেখেই উত্তাল চিপক, দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: সৌরভের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? দিল্লি কোচ পন্টিং বললেন…
মুম্বইকর তাই সাফ বলেছেন, “যথেষ্ট সুযোগ পাইনি। অন্তত আমি তো সেই ভাবেই দেখছি। আমার জায়গায় যদি অন্য কেউ থাকত, তবে তারও এটা মনে হত। দেশের হয়ে খেলাই তো চূড়ান্ত লক্ষ্য। বাদ পড়ার সময় তাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, নিজেকে চেনানোর মতো পর্যাপ্ত সুযোগ পাইনি।” বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে চার নম্বরে কে নামবেন, তা পরিষ্কার নয় এখনও। শ্রেয়স নিজের হয়ে সওয়াল করেছেন সোজাসুজি। বলেছেন, “যে কোনও নম্বরে নামার ক্ষমতা ধরি। আমি শুধু সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি। প্রত্যেক প্রতিযোগিতাতেই ভাল করছি। উপভোগ করছি ক্রিকেট। নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না। ওটা তো আর আমার হাতে নেই। আমার কাজ পারফরম্যান্স করা। আর সেটাই করছি।” এ বারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে তাই ধারাবাহিক থাকতে বদ্ধপরিকর তিনি।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)