টাইগারের প্রেরণায় গল্ফ খেলতে আসেন শুভঙ্কর

চলতি মাসেই প্রথম আন্তর্জাতিক ট্যুর জোবার্গ ওপেন জিতেছেন ২১ বছরের এই তরুণ গল্ফার। রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাবে ম্যাকলিওড রাসেল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় দিনে এক পয়েন্টে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫২
Share:

দুরন্ত: আরসিজিসি-তে ছন্দে শুভঙ্কর শর্মা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

ক্লাস ওয়ানে পড়ার সময়ে বাবার হাত ধরে প্রথমবার গল্ফ কোর্সে পা রেখেছিলেন। তার পর টিভিতে টাইগার উডসের খেলা দেখে ঠিক করেন বড় হয়ে গল্ফটাই মন দিয়ে খেলবেন। তিনি ভারতের উদীয়মান গল্ফ তারকা শুভঙ্কর শর্মা। যিনি এখন রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাবে ম্যাকলিওড রাসেল চ্যাম্পিয়নশিপের আসর মাতাচ্ছেন।

Advertisement

চলতি মাসেই প্রথম আন্তর্জাতিক ট্যুর জোবার্গ ওপেন জিতেছেন ২১ বছরের এই তরুণ গল্ফার। রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাবে ম্যাকলিওড রাসেল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় দিনে এক পয়েন্টে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। ১০ আন্ডার ৩৬ স্কোরে শীর্ষে রয়েছেন রাশিদ খান। তবুও হাল ছাড়ার পাত্র নন শুভঙ্কর। তাঁর বিশ্বাস তৃতীয় দিনে রাশিদকে তিনি ধরে ফেলবেন।

শুক্রবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে আনন্দবাজার-কে তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবা আর আমার দু’জনেরই ওই দিনটা গল্ফ কোর্সে প্রথম দিন ছিল। বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনিই আমার খেলা দেখে গল্ফ কোর্সে অনুশীলন করতে পাঠাতেন। টিভিতে টাইগার উডসের খেলা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখতাম। তা দেখেই গল্ফার হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।’’

Advertisement

দিনের শেষে যখন প্রত্যেকে একে একে নিজেদের গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখনও শুভঙ্কর একা অনুশীলন করে চলেছেন। তার পরে তিনি বলেন, ‘‘অনুশীলন না করলে নিজের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারব না। তাই সবাই চলে গেলেও আমি অনুশীলনে কোনও খামতি রাখি না। সামনেই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট রয়েছে। তাই নিজেকে তৈরি রাখতে হবে তো।’’

ক্রিকেট অথবা ফুটবলের মতো পরিশ্রম গল্ফে না থাকলেও ফিটনেস নিয়ে কোনও আপস করতে চান না শুভঙ্কর। বলেন, ‘‘আমি প্রত্যেকদিন যোগা করি এবং জিমে সময় কাটাই। গল্ফারদের কব্জিতে জোর থাকা খুবই জরুরি। তার সঙ্গে নিয়মিত ডায়েট মেনে চলতে হয়। এই ব্যাপারে অন্য খেলার খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমাদের খুব একটা পার্থক্য নেই।’’

টাইগার উডস ছাড়া ভারতীয়দের মধ্যে তিনি জিভ মিলখা সিংহ ও এস এস পি চৌরাসিয়া-র ভক্ত। বড় আসরে নামার আগে তাঁদের থেকে পরামর্শ নিয়েই নামেন তরুণ এই গল্ফার। তিনি বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতার একটা দাম আছে। তাই আমি ওদের সঙ্গে আলোচনা করার চেষ্টা করি। জোবার্গ ওপেনে খেলার সময়েও আমাকে ওরা উৎসাহ দিয়েছে।’’

শুভঙ্করের কাছে এই বছরটি খুবই পয়া। জীবনের প্রথম ইউরোপিয়ান ট্যুর জেতার পর ইতিমধ্যেই তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে গল্ফ মহলে। পরের ইউরোপিয়ান ট্যুর খেলতে ১৫ জানুয়ারি আবু-ধাবি উড়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর আগে কী ভাবে নিজেকে তৈরি করছেন এই তরুণ গল্ফার? শুভঙ্কর বলেন, ‘‘সপ্তাহে ছ’দিনই আমি অনুশীলন করি। না হলে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। আর আগের টুর্নামেন্ট জেতার ফলে বাড়তি আত্মবিশ্বাসটা তো রয়েছেই। সেটাও আশা করি কাজে লাগবে।’’ কলকাতায় খেলার পাশাপাশি এখন তাই আবুধাবির দিকেও তাকিয়ে শুভঙ্কর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন