—ফাইল চিত্র।
দু’বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। অলিম্পিক্সে নামবেন প্রথম বার। খেলার দুনিয়ার সর্বোচ্চ মঞ্চে অভিষেকের আগে সাক্ষাৎকার দিলেন পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধু। উঠে এল রিওর জন্য তাঁর স্ট্র্যাটেজি, প্রস্তুতি, কী ভাবে বিশ্বসেরাদের সামলাবেন— সব।
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ
আমাদের রিওর পরিবেশ আর পরিস্থিতির সঙ্গে মানাতেই হবে। তাই অলিম্পিক্স শুরুর আগেই ওখানে রওনা দিচ্ছি। জানি না কোন কোন চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। ড্রিফ্ট (শাটলের উপর হাওয়ার প্রভাব) থাকবে। তাই কোর্টের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমরা সপ্তাহখানেক ওখানে প্র্যাকটিস করব।
সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী
অলিম্পিক্সে সবাই সবাইকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। ওই নির্দিষ্ট দিনটায় কে কী রকম পারফর্ম করছে সেটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। এ বারের অলিম্পিক্স প্রতিদ্বন্দ্বীদের সবাইকে আমি আগে হারিয়েছি। তবে অলিম্পিক্সে হারানোটা আরও কঠিন। ওরা আমার স্ট্রোকগুলো জানে। তাই কোর্টে ঠিক মতো স্ট্র্যাটেজি পাল্টানোটাই আসল।
অলিম্পিক্সের অভিজ্ঞতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ
অবশ্যই অভিজ্ঞতার গুরুত্ব আছে। তবে কোর্টে যে দিন নামব সে দিন কে কী রকম খেলছে সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রাও ভুল করে বসে। তাই বলছি অভি়জ্ঞতার সঙ্গে ভাগ্যের সাহায্য থাকাও জরুরি।
এ বছরের পারফরম্যান্স কতটা ভরসা জোগাচ্ছে
এ বার অনেক টুর্নামেন্টেই খেলেছি। কখনও জিতেছি, কখনও হারতে হয়েছে। ভুলগুলো থেকে অনেক কিছু শিখেছি। সব সেরা প্লেয়ারদের বিরুদ্ধেই খেলেছি। সবার খেলার স্টাইল আলাদা। ফলে এই অভিজ্ঞতাটা অলিম্পিক্সে কাজে লাগবে।
অলিম্পিক্সে প্রথম নামার চাপ
চাপ সব সময়ই আছে। কিন্তু চাপের খাঁচায় আটকে পড়লে চলবে না। এক জন অ্যাথলিটের জীবনে চাপ একটা অঙ্গ। অলিম্পিক্সে প্রথম নামা নিয়ে বরং আমি উত্তেজিত।
অলিম্পিক্স ড্র কতটা কঠিন
আমার ড্র সোজা নয়। প্রথম রাউন্ড থেকেই শক্ত চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। গ্রুপে লি মিশেল (কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন) আর হাঙ্গেরির লরা সারোসি আছে। নক আউটে সম্ভবত তাই জু জিংয়ের (সেমিফাইনাল উঠতে চিনের ইহান ওয়াংকে খেলতে হতে পারে) বিরুদ্ধে লড়তে হবে আমাকে। তাই আমি এক একটা ম্যাচ ধরে এগোব।
বিশেষ প্রস্তুতি
রিওতে আমার প্রতিপক্ষদের এক-একজনকে ধরে প্রস্তুতি নেব। তাদের ভিডিও বিশ্লেষণ করে। তবে কী ভাবে পুরো ব্যাপারটা হবে সেটা কোচই ঠিক করবেন।