শ্রীনিকে কোটি টাকার গোয়েন্দা লাগানোর কারণ দর্শাতে বলা হল

ক্রিস গেইলের সামনে কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের মতোই হতচ্ছেদ্দা দশা এখন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের। শাসক গোষ্ঠীর তুমুল আক্রমণের মুখে তিনি এখন ক্রমাগত পড়ছেন। যার তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনেই শ্রীনিকে তীব্র পত্রাঘাত করেছেন বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর। শ্রীনি, অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড অধ্যক্ষ শিবলাল যাদব আর প্রাক্তন বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেল তিন জনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁরা ক্ষমতায় থাকাকালীন বোর্ড সদস্যদের ওপর আড়ি পাতার জন্য কোনও গোয়েন্দা সংস্থা নিয়োগ করেছিলেন কি না? করে থাকলে কেন করেছিলেন?

Advertisement

গৌতম ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৫ ০৪:১০
Share:

ক্রিস গেইলের সামনে কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের মতোই হতচ্ছেদ্দা দশা এখন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের। শাসক গোষ্ঠীর তুমুল আক্রমণের মুখে তিনি এখন ক্রমাগত পড়ছেন। যার তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে।

Advertisement

নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনেই শ্রীনিকে তীব্র পত্রাঘাত করেছেন বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর। শ্রীনি, অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড অধ্যক্ষ শিবলাল যাদব আর প্রাক্তন বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেল তিন জনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁরা ক্ষমতায় থাকাকালীন বোর্ড সদস্যদের ওপর আড়ি পাতার জন্য কোনও গোয়েন্দা সংস্থা নিয়োগ করেছিলেন কি না? করে থাকলে কেন করেছিলেন?

এঁদের উত্তর পেলে বোর্ড সচিব পরের পদক্ষেপ ঠিক করবেন। রাতে দিল্লিতে অনুরাগের ঘনিষ্ঠমহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল এই ইস্যুতে তিনি এসপার ওসপার দেখে ছাড়তে চান। বোর্ড প্রেসিডেন্ট ডালমিয়াও এই মুহূর্তে শ্রীনির ব্যাপারে তীব্র চরমপন্থী অবস্থানে। এমনিতে এখনকার বোর্ড কর্তাদের ক্ষোভ হল অর্ধেক পুরনো কাগজ তাঁরা চেয়েও পাচ্ছেন না। ইচ্ছাকৃত ভাবে চেন্নাইস্থিত বোর্ড অফিস তাঁদের দেরিতে কাগজ দিচ্ছে।

Advertisement

এক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় কাগজ নিশ্চয়ই দেওয়া হবে না। কিন্তু শ্রীনি শিবির হয়তো জানে না যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইতিমধ্যে নতুন কর্তাদের হাতে রয়েছে। শ্রীনির আমলে সচিব যে লন্ডনস্থিত গোয়েন্দা সংস্থাকে আড়ি পাতার জন্য ১৪ কোটি টাকা বোর্ড তহবিল থেকে মঞ্জুর করেন সেই খবর ২৬ এপ্রিলের এবিপিতে প্রথম বার হয়েছিল। সেই কাগজ আপাতত অনুরাগের হেফাজতে।

ভারতীয় আইন অনুযায়ী এ ভাবে ফোন ট্যাপিং বা ই-মেল হ্যাকিংয়ের বন্দোবস্ত ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ ছাড়া সম্ভব নয়। তাও যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে তার কোনও অবকাশ না থেকেও যে ভাবে সরকারি ভাবে ফোন ও ই-মেল নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে ভারতীয় প্রশাসনিক মহল অত্যন্ত বিস্মিত। অনেকের ধারণা এই নাটকের পরিণতি ফৌজদারি মামলায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে।

কারণ কিস্তিমাতের আসল উপকরণ তো অনুরাগের হাতেই। লন্ডনবাসী সংস্থাকে নিয়োগ করার জন্য বোর্ড সচিবের নির্দেশ!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন