midnapore

পরীক্ষা শুরুর আগে স্কুলের শৌচাগারে সাপের ছোবল নিট পরীক্ষার্থীকে! হইচই মেদিনীপুর শহরে

শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে আবার পরীক্ষাকেন্দ্রে যান পরীক্ষা দিতে। পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৪ ১৫:৪০
Share:

(ডান দিকে) সাপের কামড় খেয়ে হাসপাতালের শয্যায় পরীক্ষার্থী। (ডান দিকে) রাঙামাটি কেএম হাই স্কুল। —নিজস্ব চিত্র।

নিট (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট) পরীক্ষা দিতে এসে স্কুলের শৌচাগারে সাপের ছোবল খেলেন এক পরীক্ষার্থী। রবিবার এই ঘটনায় শোরগোল মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি কিরণ্ময়ী হাই স্কুল চত্বরে। আতঙ্ক ছড়াল অভিভাবকদের মধ্যে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে রবিবার দুপুরে রাঙামাটি কিরণ্ময়ী হাই স্কুলে এসেছিলেন লিপ্সা সাউ নামে এক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরুর আগে স্কুলের শৌচাগারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই একটি সাপ তাঁকে ছোবল মারে। লিপ্সার চিৎকার চেঁচামেচিতে অন্য পরীক্ষার্থীরাও ভয় পেয়ে যান। লিপ্সা শৌচাগার থেকে বেরিয়ে বাবা-মাকে জানান, তাঁকে সাপে কামড়েছে। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্কুলের একটি সূত্রে খবর, ওই পরীক্ষার্থীকে বেলা ১টা ১০ মিনিট নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা হয়। জানা গিয়েছে, লিপ্সার বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর এলাকায়। বাবা পূর্ণচন্দ্র সাউ এবং মা মনোরমা সাউয়ের সঙ্গে রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। গন্তব্য মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি কিরণ্ময়ী হাই স্কুল। গাড়ি করে পরীক্ষাকেন্দ্রে যান লিপ্সা। আসন খোঁজার পর পরীক্ষা শুরুর আগে শৌচাগারে গিয়েছিলেন। তার পরেও এই কাণ্ড।

Advertisement

নিট পরীক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে খবর, লিপ্সা নিজে জানিয়েছেন যে তাঁকে সাপে কামড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে বাবা-মা হাসপাতালে যান। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকেরা প্রথমে রক্ত পরীক্ষা করেন ওই পরীক্ষার্থীর। চিকিৎসার পর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় ছাত্রীকে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে আবার পরীক্ষাকেন্দ্রে যান পরীক্ষা দিতে। কিন্তু স্কুল সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ পরীক্ষা দিতে পারেননি তিনি। অসুস্থ বোধ করায় তাকে পৌনে ৪টে নাগাদ আবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষার্থীর মা বলেন, ‘‘মেয়ে অসুস্থ বোধ করে। বমি করলে তাঁকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সম্পূর্ণ পরীক্ষা দিতে পারেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন