ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে স্টেডিয়ামে উপচে পড়ল ভিড়। — নিজস্ব চিত্র
ভারত বনাম বাংলাদেশ! সাফ মহিলা ফুটবলে দুই বাংলাদের খেলা দেখতে শনিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ভিড় করলেন দর্শকরা। আইএফএ এবং মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের হিসাব বলছে এ দিন মাঠে হাজার চারেক দর্শক উপস্থিত ছিল। সাফ মহিলা ফুটবল প্রতিয়োগিতায় এখন পর্যন্ত যে ম্যাচগুলি হয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি দর্শক হয় এদিনই। সে কারণেই খুশি উদ্যোক্তারা।
খেলা গোল শূন্য ড্র হলেও শুরু থেকেই বাংলাদেশকে চাপে রাখে ভারত। বাংলাদেশের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে ঘনঘন গোলের সুয়োগও তৈরি করছিল ভারতের ফুটবলাররা। তা নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছিল গ্যালারি। ম্যাচ দেখতে উপস্থিত দর্শকদের অনেকে আবেগে ভাসলেন। অধিকাংশ ভারতের সমর্থক হলেও তাঁদের অনেকের মনেই বাংলাদেশ নিয়ে আলাদা উৎসাহ রয়েছে। কেন না তাঁদের অনেকেরই আত্মীয়স্বজন এক সময় ওপারে থাকতেন। তাই দুই বাংলার খেলা দেখতে এ দিন মাঠে ভিড় করেন অমিতাভ সরকার, তাপস বিশ্বাসদের মতো অনেকেই। শুধু শিলিগুড়ির বাসিন্দাই নন, জলপাইগুড়ি, ডুয়ার্সের চালসা থেকেও খেলা দেখতে এসেছিলেন অনেকে। চালসার বাসিন্দা তাপস বিশ্বাস, স্ত্রী মৌসুমী দেবী এবং শিশু কন্যা অয়ন্তিকাকে নিয়ে এসেছেন। জলপাইগুড়ি থেকে এসেছেন অঞ্জন মিত্র, দেবতোষ বর্মনরা। গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করছিলেন তাপসবাবু। তিনি বলেন, ‘‘খেলা দেখার জন্যই এ দিন চালসা থেকে শিলিগুলিতে এসেছি। ভারত জিতলে আরও ভাল লাগত। তা হলে গ্রুপ সেরা হয়ে সেমফাইনালে উঠত। সেটা হল না। অনেক সুযোগ পেয়েও নষ্ট হয়েছে। তবে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছিল ভারতের মেয়েরা।’’
এদিন মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলেন দেশবন্ধুপাড়ার একটি মঠের সন্ন্যাসী স্বামী জনার্দন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে রয়েছি। দেশকেই সমর্থন করেছি। ফাইনালে উঠে আমাদের মেয়েরাই জিতবে বলে আশা করি।’’ শান্তিনগরের বাসিন্দা মিলন সরকার আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিলেন। এ দিন তিনি ছিলেন ভারতের সমর্থক। স্ত্রী, ছোট ছেলেকে নিয়ে তিনিও ম্যাচ উপভোগ করেন। তবে ভারতের ফুটবলাররা গোল করতে না পারায় তাঁরা কিছুটা হতাশ।
এ দিন বংলাদেশের সঙ্গে ভারত ড্র করায় দেশের সমর্থকদের অনেকেই চায় ফাইনালে ভারত-বাংলাদেশ ফের মুখোমুখি হোক। তার আগে নেপালের সঙ্গে সোমবার সেমি ফাইনাল
খেলবে ভারত।