ব্যাট হাতে রোহিত শর্মা আর অম্বাতি রায়ডুর অসাধারণ সেঞ্চুরি। প্রথমে ব্যাট করে ৩৭৭ রান। বল হাতে খলিল আহমেদ আর কুলদীপ যাদবের ভেলকি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন বিরাট কোহালির ছেলেরা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক ভারতের চতুর্থ একদিনের ম্যাচে জয়ের কয়েকটি কারণ।
রোহিতের দাপট: জ্বলে উঠলেন রোহিত শর্মা। সব সমালোচনার জবাব দিলেন। নিজে শুধু ১৩৭ বলে অসাধারণ ১৬২ রানের ইনিংস উপহার দিলেন তা-ই নয়, দলের জন্য একটা বিশাল স্কোর তৈরি করে দিলেন।
রায়ডুর সহায়তা: শুরুটা ভাল করেও শিখর ধওয়ন এবং বিরাট কোহালি বেশি দূর এগোতে পারেননি। কোহালি দ্রুত ফিরে যাওয়ায় শঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। ঠিক তখনই রোহিতকে যোগ্য সঙ্গত দিতে শুরু করলেন রায়ডু। নিজেও সেঞ্চুরি করলেন। রোহিত-রায়ডুর জুটিতে ভর করে বিশাল রান তুলে ফেলল টিম ইন্ডিয়া।
সাদামাটা বোলিং: রোহিত-রায়ডুর ব্যাট যতই চওড়া হয়েছে ততই সাদামাটা দেখিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনও বোলারই এ দিন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বেগ দিতে পারেননি।
ভারতীয় বোলিং: ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করে ফেলেন ভুবনেশ্বর কুমার। সঙ্গে যোগ হয় বুমরার টাইট বোলিং।
পর পর দুটি রান আউট: কুলদীপ যাদব এবং বিরাট কোহালির অনবদ্য দুটি রান আউট ম্যাচ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি বার করে দেয়।
হোপের ব্যর্থতা: কোহালিদের বেগ দিচ্ছিলেন যিনি, সেই হোপের শূন্যতে রান আউট ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বড় ধাক্কা। ফর্মে থাকা হোপ আউট হয়ে যাওয়ায় লড়াইয়ে ফিরে আসা আর সম্ভব ছিল না ক্যারিবিয়ানদের।
খলিল ও কুলদীপের দাপট: ওয়েস্ট ইন্ডিজের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতার কাজটা করে দেন দুই বাঁ হাতি। খলিল আহমেদের আগুন ঝরালো পেস আর কুলদীপের স্পিনের ছোবলে সহজেই টেস্ট খেলা যে কোনও দেশের বিরুদ্ধে সব থেকে বড় জয়টা হাসিল করে নিলেন কোহালি-রোহিতরা।