জয়ের পর বাংলাদেশ। ছবি: রয়টার্স
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কি তবে আন্ডারডগদের টুর্নামেন্ট হতে চলেছে! পরিসংখ্যান কিন্তু সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।
আইসিসির ক্রমতালিকার উপরের দিকে থাকা দল গুলিকে অপ্রত্যাশিত ভাবে পর্যুদস্ত করছে নীচের দিকে থাকা দলগুলি। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার পর এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বাংলাদেশ। বিগত তিন দিনে তিনটি শক্তিধর দেশকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করল নীচের দিকে থাকা অ্যাঞ্জেল ম্যাথুজ, সরফরাজ আহমেদ, মাশরফি মোর্তাজাদের টিম।
আরও পড়ুন: কার্ডিফে দুই বাঘের দাপটে ছিটকে গেল নিউজিল্যান্ড
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিকে থাকার লড়াইয়ে শুক্রবার কার্ডিফে মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ। ব্ল্যাক ক্যাপসদের ২৬৫ রানের জবাবে ইনিংসের শুরুতেই ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। এর পরই সৃষ্টি হয় চ্যম্পিয়ন্সদের বিশ্বকাপের এক অনন্য নজির। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের ২২৪ রানের নজিরবিহীন পার্টনারশিপ তৈরি করলেন এই মুহূর্তে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনও দেশই এত বড় রানের পার্টনারশিপ করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সাকিব-মাহমুদউল্লাহের এই পার্টনারশিপ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসেও সেরা।
তবে এই প্রথম নয়, আইসিসির টুর্নামেন্টে এর আগেও তাবড় তাবড় প্রতিপক্ষকে এক লহমায় উড়িয়েছে টাইগার বাহিনী। কার্ডিফের এই মাঠেই ২০০৫ সালে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক মোর্তাজা ছাড়া সেই দলের আর কোনও প্লেয়ারই অবশ্য ছিলেন না এই দিনের ম্যাচে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আইসিসি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের স্মরনীয় কিছু ম্যাচ।