অনুশীলনে সনিদের চনমনে মেজাজ। শনিবার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে। -দেশকল্যাণ চৌধুরী
সামনে কঠিন সময়। আট দিনের মধ্যে আই লিগের পরপর তিনটি ম্যাচ। তার মধ্যে আবার দু’টো বাইরের মাঠে। এই অবস্থায় সনি নর্দে নামক অস্ত্রে শান দিতে শুরু করছেন সঞ্জয় সেন।
মঙ্গলবার মলদ্বীপের ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচে খেলবে মোহনবাগান। সেই ম্যাচে অন্তত আধ ঘণ্টা হাইতি মিডিওকে দেখে নিতে চান মোহনবাগান কোচ। তাঁর ইচ্ছে শুরু থেকেই সনিকে নামিয়ে দেওয়ার। শনিবার বিকেলে সঞ্জয় বলে দিলেন, ‘‘সনি চোটমুক্ত। ওকে কিছুক্ষণ তো খেলাবই। ভাবছি শুরুর দিকেই নামাব।’’
সুনীল ছেত্রীদের এ দিন হারালেও ইস্টবেঙ্গল অপরাজিত থাকার মুকুট হারিয়েছে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি-ও পিছোতে শুরু করেছে। আইজল এফসি আবার লিগ টেবলের উপরের দিকে উঠে আসছে। এই অবস্থায় পরের তিনটি আই লিগ ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ড্যারেল ডাফিদের কাছে। সে কথা মনে রেখেই এএফসি কাপের ম্যাচকে টিম গোছানোর মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন কাতসুমিদের কোচ।
মলদ্বীপের ক্লাব টিমের সঙ্গে ম্যাচ গোলশূন্য রাখলেই পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত। তবুও ম্যাচটা জিততে চাইছেন সঞ্জয়। মালে-তে যে দল খেলে এসেছিল তাতে কিছু পরিবর্তন করতে পারেন তিনি। এ দিন রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের শেষ দিকে হাতে সামান্য চোট পান গোলকিপার শিল্টন পাল। তিনি না খেলতে পারলে ওই জায়গায় টিমের তিন বা চার নম্বর গোলকিপারকে নামানো হতে পারে। সনি ছাড়াও প্রথম একাদশে ফিরতে পারেন শৌভিক চক্রবর্তী।
মলদ্বীপের ক্লাব দলটি শুক্রবার রাতেই শহরে পা দিয়েছে। শনিবার বিকেলে তাঁরা রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করে। বন্ধ গেটের বাইরে থেকে দেখা গেল তিন জন বিদেশি নিয়ে এসেছে ক্লাবটি। তিন জনই নাইজিরিয়ান। তাঁদের মধ্যে এক জন আবার এ দিন অনুশীলনের সময় চোট পেয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে বসে গেলেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, গত মঙ্গলবার মলদ্বীপে প্রথম পর্বের যে টিম খেলেছিল কলকাতায় সেই দলে নতুন সংযোজিত হয়েছেন দুই ফুটবলার। দু’দলে ভাগ হয়ে ছোট মাঠ করে খেলা ছাড়াও সেট পিস অনুশীলন করেন গডফ্রে ওমোডু-রা।
মোহনবাগান কোচ মলদ্বীপে প্রথম লেগের ম্যাচে যাননি। ওই ম্যাচ টিভি-তেও দেখানো হয়নি। সহকারী শঙ্করলাল চক্রবর্তীর কাছ থেকে জেনেছেন দল সম্পর্কে। ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ আছে তাঁর কাছে। সেটাই কাটাছেঁড়া করছেন ম্যাচে খেলতে নামার আগে।
এএফসি কাপের ম্যাচ এবং আই লিগ চলছে সমান তালে। এই অবস্থায় এখনও স্পনসরহীন মোহনবাগান। তা সত্ত্বেও ফুটবলারদের চিন্তা দূর করতে প্রীতম কোটাল-দেবজিৎ মজুমদারদের হাতে এ দিন সকালে জানুয়ারি মাসের মাইনে তুলে দিলেন কর্তারা। ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করতে এ দিন মাঠে হাজির হন ক্লাব প্রেসিডেন্ট স্বপন সাধন (টুটু) বসু। ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলে দেন, ‘‘পরের তিনটি আই লিগ ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেতাব জিততে হলে তিনটি ম্যাচ জিততেই হবে। স্পনসর না থাকলেও ফুটবলারদের কোনও সমস্যা আমি হতে দেব না।’’ মাইনে পেয়ে সবথেকে খুশি প্রণয় হালদার। কারণ শনিবারই ছিল তাঁর জন্মদিন।