সফল: সেরা ক্রীড়াবিদ সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধান অতিথি অমিতাভ দত্ত (বাঁ দিকে)। উপস্থিত রয়েছেন এবিপি প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি ডি ডি পুরকায়স্থ (ডান দিকে)। আনন্দ ক্রীড়ায়। নিজস্ব চিত্র
এ বারের আনন্দ ক্রীড়ায় ফের সেরা ক্রীড়াবিদ হলেন ফিনান্স দফতরের কর্মী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরও এই পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এ বার পুরুষদের ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ের দুই ইভেন্টেই প্রথম হওয়ায় সেরার পুরস্কার উঠল তাঁর হাতেই। এ ছাড়াও ৪x১০০ মিটার রিলের শেষ ধাপে সৌরভের দুরন্ত দৌড়েই চ্যাম্পিয়ন হয় ফিনান্স বিভাগ।
রবিবার ময়দানের তালতলা মাঠে অনুষ্ঠিত আনন্দ-ক্রীড়া হয়ে উঠেছিল এবিপি লিমিটেডের কর্মী ও তাদের পরিবারের মিলনমেলা। মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলার পাশাপাশি খুদেরাও দেদার মজা করল কার্নিভালে।
সব চেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল দড়ি টানাটানি। সেখানে তুল্যমূল্য লড়াই হয়। এই ইভেন্টে প্রথম বারাসত ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগ। বাস্কেট দ্য বল বিভাগে প্রথম আনন্দবাজার ক্রীড়া বিভাগের শমীক সরকার।
পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতাতেও ছিল টান টান উত্তেজনা। ৭৫ মিটার দৌড় বিভাগে প্রথম হন বাংলা ম্যাগাজ়িনের বৈশালী সরকার। গুলি-চামচ (চামচের মধ্যে গুলি নিয়ে দৌড়) দৌড়ে প্রথম বাংলা ম্যাগাজ়িনের সায়নী দাস শর্মা। চল্লিশোর্ধ্ব মহিলাদের ২০০ মিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় প্রথম হন নবনীতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ইন্টারনাল অডিট)। মিউজিক্যাল চেয়ার ইভেন্টে প্রথম হয়েছেন অ্যাড মার্কেটিং সার্ভিসেস-এর সুতপা সেন।
বড়দের মতো ছোটরাও এ দিন সমান তালে দৌড়েছে। কর্মীদের ছেলেদের (৪-৭ বছর) ৫০ মিটার দৌড়ে প্রথম দয়েশ দাশগুপ্ত, মেয়েদের এই ইভেন্টে প্রথম সংস্থিতা পাল। ছেলেদের (৭-১০ বছর) ৭৫ মিটার দৌড়ে প্রথম ঋষভ বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়েদের (৭-১০ বছর) ৭৫ মিটার দৌড়ে প্রথম সম্পূর্ণা সিংহ। ছেলেদের (১০-১৩ বছর) ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম সৌমাভ পাল। ১০-১৩ বছরের মেয়েদের ১০০ মিটারে প্রথম অরুণিমা পাল। ১৩-১৮ বছরের ছেলেদের ১০০ মিটারে প্রথম অভিরূপ বসাক। ১৩ থেকে ১৮ বছরের মেয়েদের গুলি-চামচ দৌড়ে প্রথম সঞ্চারী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সব প্রতিযোগিতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে কচিকাঁচাদের ফ্যান্সি ড্রেস। পপকর্ন সেজে প্রথম পুরস্কার জিতে নেয় মেঘনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিদাসের বুলবুল ভাজা বিক্রেতা সেজে এই বিভাগে দ্বিতীয় শিঞ্জিত মজুমদার। তৃতীয় হয় দু’জন। মহাত্মা গাঁধীর সাজে ইরফানুর রহমান। ‘ক্যান্ডি বেবি’ সেজেছিল ঐশ্বর্য পোদ্দার। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়কে বাছতে হিমশিম খেতে হয় বিচারকদের।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি, এবিপি সংস্থার প্রাক্তন প্রেডিসেন্ট (ডেলিজ) অমিতাভ দত্ত। তাঁর কথায়, ‘‘দীর্ঘ সময় এই সংস্থায় ছিলাম। তাই আনন্দ ক্রীড়ায় এসে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েছি। এই প্রতিযোগিতা কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রসারের একটা বড় মঞ্চ।’’