তারকা: মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে সৌরভ, টুইঙ্কল, গোপীচন্দ। ছবি: পিটিআই
বছর চোদ্দোর আগের ঘটনা। ২০০৩-০৪ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে অনিল কুম্বলেকে বাদ দিয়েই দল পাঠাতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। সিদ্ধান্তও প্রায় নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন ভারত অধিনায়কের কথায় কুম্বলেকে দলে নিতে বাধ্য হন নির্বাচকেরা। সেই অধিনায়কের নাম ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে এসে সেই ঘটনার কথা বলেন সৌরভ। ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটে গত ২০-২৫ বছরের মধ্যে অনিল কুম্বলের চেয়ে বড় ম্যাচ উইনার আর আসেনি। কিন্তু ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে নির্বাচনী বৈঠকে যোগ দিয়ে বুঝলাম, নির্বাচকেরা কুম্বলেকে বাদ দিতে চাইছেন।’’ সেই নির্বাচনী বৈঠক নিয়ে সৌরভ আরও বলেন, ‘‘আমি বৈঠকে ঢুকেই বুঝে যাই, নির্বাচকেরা কুম্বলে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছেন। তখন নির্বাচকদের বোঝাতে থাকি, কুম্বলের মতো ম্যাচ উইনার আর হয় না। ওকে অস্ট্রেলিয়ায় লাগবেই।’’
সেই সময় নির্বাচকেরা চাইছিলেন এক বাঁ-হাতি স্পিনারকে। সৌরভের কথায়, ‘‘অস্ট্রেলীয়রা বাঁ-হাতি স্পিন খেলতে সমস্যায় পড়ে বলে নির্বাচকেরা এক জন বাঁ-হাতি স্পিনার দলে চাইছিলেন। কিন্তু আমি গোঁ ধরে থাকি কুম্বলের ব্যাপারে।’’
সৌরভ এর পর নির্বাচকদের বলে দেন, অনিল কুম্বলেকে দলে না রাখলে তিনি টিম লিস্টে সই করবেন না। যা শুনে নির্বাচকেরা বলেন, তাঁরা ভারত অধিনায়কের কথা মেনে নেবেন ঠিকই, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় খারাপ কিছু হলে সবার প্রথম সরতে হবে সৌরভকেই। বৃহস্পতিবার সৌরভ সেই পুরনো দিনে ফিরে গিয়ে বলেন, ‘‘আমি তাতেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। নির্বাচকদের বলে দিয়েছিলাম, আমি ঝুঁকি নিতে তৈরি।’’ সেই অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত টেস্ট সিরিজ ১-১ করে আসে। কুম্বলেও দুর্দান্ত খেলেন। সিরিজে দু’দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছিলেন কুম্বলেই। চব্বিশটি।